ওয়েব ডেস্ক: যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইউক্রেনের (Ukraine) জন্য এই বৈঠক ছিল অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে রাশিয়াকে সঙ্গে কূটনৈতিক চালে জব্দ করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের (Donald Trump) এই সাক্ষাৎ আমেরিকার (USA) জন্যও একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু এই বৈঠক শুরুর থেকেই হোয়াইট হাউসের পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত। জানা গিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelensky)- দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বাক্য বিনিময়ে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে উত্তপ্ত। বিশেষ করে খনিজ চুক্তি ও যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা কোনও ফলপ্রসূ সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি বলে খবর।
তবে এই বৈঠক নিয়ে ট্রাম্পের দাবি, বৈঠক ‘অত্যন্ত অর্থবহ’ হয়েছে। এই বিষয়ে তিনি সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “আজ হোয়াইট হাউসে আমাদের একটি অত্যন্ত অর্থবহ বৈঠক হয়েছে। আগুন ও চাপে থাকা এই আলোচনার মাধ্যমে অনেক কিছু শিখেছি। আবেগের বহিঃপ্রকাশ অবিশ্বাস্য!”
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফি চলাকালীনই পাকিস্তানে বিস্ফোরণ, মৃত পাঁচ
তবে ইউক্রেনের বিষয়ে তাঁর মনোভাব স্পষ্ট করে দেন ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য, “আমি বুঝেছি, আমেরিকা কোনও ভূমিকা নিলে প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি শান্তিপ্রক্রিয়ায় শামিল হবেন না। কারণ, তিনি মনে করেন, আমাদের উপস্থিতি তাঁকে আলোচনায় বাড়তি সুবিধা দেবে। কিন্তু আমি সুবিধা দিতে চাই না, শান্তি চাই।”
Watch this carefully. Very important.
pic.twitter.com/wdM3XdbrH1— Elon Musk (@elonmusk) February 28, 2025
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হোয়াইট হাউসের এই বৈঠকের মাঝেই একসময় কার্যত আলোচনার টেবিল ছেড়ে বেরিয়ে যান জেলেনস্কি। ট্রাম্পের মতে, এটি আমেরিকার প্রতি অসম্মানসূচক আচরণ। তবে তিনি জানান, “যদি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জেলেনস্কি রাজি হন, তবে তিনি ফিরে আসতেই পারেন।” যদিও বাদানুবাদের পরেও জেলেনস্কি জানান, তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে।
দেখুন আরও খবর: