ওয়েব ডেস্ক: হাত বাড়ালেই বন্ধু? বিশ্বের ক্ষমতার সমীকরণ পাল্টাচ্ছে। ভারত (India) ও চীনের (China) সম্পর্কের সমীকরণও কি পাল্টাতে চলেছে? চীন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মন্তব্যকে স্বাগত জানাল শি জিনপিংয়ের দেশ। সিনো ইন্ডিয়ান সুসম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন মোদি। হাতি ও ড্রাগনের বার্তা বিনিময়ের কথা বলেছেন। লেক্স ফ্রিডম্যানকে (Lex Fridman) পডকাস্টে মোদি জানিয়েছেন, দুই দেশের সমন্বয় নৃত্য উভয় প্রতিবেশীকেই সফল করবে। সেটাই দুই দেশের পক্ষে একমাত্র রাস্তা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই পজিটিভ মন্তব্যকে চীন স্বাগত জানাল। চীনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং (Mao Ning) সোমবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সাফল্যের জন্য দুই দেশে পরস্পরের অংশীদার হবে। দুই দেশের পক্ষে সেটাই একমাত্র পছন্দের। উল্লেখ্য, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউরোপের প্রভাবশালী দেশগুলির সম্পর্কে চিড় ধরেছে। রাশিয়ার প্রতি নরম মনোভাব দেখাচ্ছেন ট্রাম্প। তাঁর শুল্ক নীতি চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়েছে। চীন পাল্টা কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে আমেরিকাকে। সেই জায়গায় মোদির ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে চীনের সদর্থক বার্তা গুরুত্বপূর্ণ। তবে ওই পডকাস্টে ট্রাম্পেরও প্রশংসা করেছেন মোদি।
এদিন মাও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের রাশিয়ার কাজানে গত অক্টোবরের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির জন্য ওই বৈঠক কৌশলগত পথ দেখিয়েছে। চীন জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে তাদের ২০০০ বছরের ঐতিহাসিক সম্পর্ক। দুই দেশ বন্ধুত্বপূর্ণ আদান প্রদান করে এসেছে। দুই দেশ একে অপরের থেকে শিখেছে। সভ্যতা ও মানব উন্নয়নে অবদান রেখেছে।
আরও পড়ুন: রেকর্ড, তিন ঘণ্টার পডকাস্ট ইন্টারভিউ মোদির, শেয়ার করলেন ট্রাম্প
ওই পডকাস্টে মোদি বলেছেন, তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলার পর সীমান্তে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে এসেছে। পূর্ব লাদাখে ২০২০ সালে দুই দেশের সেনার মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। মোদি সদর্থক বার্তা দিয়ে জানান, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক। দুই প্রাচীন সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের কথা উঠে আসে তাঁর ইন্টারভিউতে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, একসময় বিশ্বের অর্ধেক জিডিপি এসেছে ভারত ও চীন থেকে। বিশ্ব শান্তি উন্নয়নের জন্য দুই দেশের সহযোগিতা দরকার।
দেখুন অন্য খবর: