ওয়েব ডেস্ক: স্কুল-কলেজে বসানো জলের মেশিন বা ট্যাঙ্কে টিকটিকি বা ছোট পোকামাকড় ভাসার ঘটনা নতুন নয়। মাঝে মধ্যেই এমন ঘটনার সাক্ষী থাকে পড়ুয়ারা। আবার সেই জল পেটেও যায় তাঁদের! তবে এবার পোকামাকড় নয়। পচা-গলা মৃতদেহ ভেসে উঠল জলের ট্যাঙ্ক থেকে! আর সেই জলই দিন দশেক ধরে গলায় ঢেলেছেন মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক থেকে পড়ুয়ারা। দিনের পর দিন ট্যাঙ্কের মধ্যেই পড়েছিল দেহটি। ইতিমধ্যেই মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
দিনের পর দিন ট্যাঙ্কে ভাসছিল পচা-গলা দেহ। আর সেই ট্যাঙ্কারের জলই পান করে যাচ্ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের সকলে। ভয়ঙ্কর এই কাণ্ডটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া মহাঋষি দেবরাহা বাবা মেডিক্যাল কলেজে। পরবর্তীতে জল থেকে দুর্গন্ধ নাকে আসতেই ছাত্র-ছাত্রীদের মনে সন্দেহ জাগে। দ্রুত অভিযোগ জানান তাঁরা। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সাফাইকর্মীরা মেডিক্যাল কলেজের ষষ্ঠ তলায় সিমেন্ট ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে পৌঁছন। ট্যাঙ্ক এর ভিতর নজর পড়তেই চক্ষু চড়কগাছ সাফাইকর্মীদের। তাঁরা দেখেন জলে পচাগলা দেহ ভাসছে। তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেন তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশের উপস্থিতিতে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। হাসপাতালের ওপিডি এবং ওয়ার্ডে এই ট্যাঙ্কের জল সরবরাহ হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল, কী কারণ?
এখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে মৃতদেহটি কার? কে বা কারা ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়ে গেল তাঁকে? আসলে দেহটি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে পচে গলে যাওয়ায় এই মুহূর্তে শনাক্ত করা বেশ কঠিন। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছ জেলা প্রশাসন। দেওরিয়া জেলাশাসক দিব্যা মিত্তলকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী ২ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। ঘটনায় কলেজের প্রিন্সিপাল ডঃ রাজেশ কুমার বার্নওয়ালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের কাজে মঙ্গলবার সকালে তদন্তে এসে ডিএম দিব্যা মিত্তলের চোখে পড়ে যে ট্যাঙ্কটি খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যেটি দেহ উদ্ধারের পর লক থাকার কথা ছিল। তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চালাচ্ছে কী কেউ? কারণ ট্যাঙ্ক খোলা থাকার কথাই নয়। যদিও তারপর ট্যাঙ্কটি সিল করে দেওয়া হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর