সঞ্জীব কুমার দাস, মেদিনীপুর: যুবক ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে হাও়ড়া (Howrah) থেকে ট্রেনে (Train) করে বাড়ি ফিরছিলেন মা ৷ রানী শিরোমণি (Rani Shiromani) নামের সেই ট্রেন মেদিনীপুর স্টেশনে (Medinipur Station) প্রবেশের আগে মা বাথরুমে গিয়েছিলেন ৷ ট্রেন তখন মেদিনীপুরের কাঁসাই রেল ব্রীজ (Kansai Railway Bridge) পার হচ্ছিল ৷ সন্ধা সাড়ে সাতটা নাগাদ মা বাথরুমে যেতেই প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীরা দেখলেন সিটে থাকা যুবক ছেলে হঠাত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে দেয়। সেতুর ওপর দিয়ে পার হওয়া ট্রেনের দরজা থেকে ঝাঁপ দিতেই সোজা নদীতে গিয়ে পড়ে যুবক ৷
মা বাথরুম থেকে বের হতেই অন্য যাত্রীরা তার মাকে বলেন বিষয়টা ৷ ট্রেন মেদিনীপুর ষ্টেশনে প্রবেশ করতেই ছুটে গিয়ে জিআরপি ও আরপিএফকে বিষয়টা কাঁদতে কাঁদতে বলেন মা ৷ শুরু হয়েছিল রেলওয়ের তত্পরতা ৷ কিন্তু বৃষ্টি ও রাতের অন্ধকারের কারণে পুলিশ আরপিএফ কোনও সুরহা করতে পারেনি ৷ তবে বুধবার সকাল থেকে সকলের তত্পরতা শুরু হয় পুনরায় ৷ তারপর সকাল ৯ টা নাগাদ যুবকের দেহ ভাসতে দেখা যায় নদীতে। কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার ৷
আরও পড়ুন- মন্থা’র ল্যান্ডফলের পর সকালে এ কী অবস্থা? দেখুন এই ভিডিও
জানা গিয়েছে, সোহম পাত্র (Soham Patra) নামে ওই যুবকের বাড়ি বাঁকুড়া (Bakura) জেলাতে ৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিটেক ইঞ্জিনিয়ারিং (Jadavpur University B Teach Engineering) নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন ৷ সম্প্রতি কোনও কিছু নিয়ে মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল যুবকের ৷ তার জন্য বাবা- মা ব্যাবস্থাও নিয়েছিলেন ৷ ছেলেকে তাই কলকাতা থেকে বাড়িতে আনতে গিয়েছিলেন মা ৷ কিন্তু ফেরার পথে মা এর সামান্য অনুপস্থিতিতেই ঘটে গেল বড়ো দুর্ঘটনা।
দেখুন আরও খবর-







