Thursday, November 13, 2025
HomeScrollনিখোঁজ ৩০০ কেজি বি/স্ফো/র/ক কোথায়? উদ্ধারে মরিয়া পুলিশ
Delhi

নিখোঁজ ৩০০ কেজি বি/স্ফো/র/ক কোথায়? উদ্ধারে মরিয়া পুলিশ

বিপদে দেশ! একাধিক রাজ্যে নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ

ওয়েবডেস্ক-  দিল্লি (Delhi) বিস্ফোরণ কাণ্ডে দেশজুড়ে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই লালকেল্লার (Red Fort) কাছে মেট্রো স্টেশন (Metro Station) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। দিল্লিবাসীকে তদন্তের স্বার্থে লাল কেল্লার দিকের রাস্তা এই সময় এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের আতসকাচের তলায় আট সন্দেভভাজন। যাদের পরিকল্পনার ছিল  চারটি শহরে বিস্ফোরণ। ২৬/১১-এর (26/11) মতো দেশজুড়ে প্রায় ২০০টি বিস্ফোরণ করে হামলার পরিকল্পনা ছিল।

তার জন্য বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুদ করেছিল তারা।  যার মধ্যে পুলিশ ইতিমধ্যেই ফরিদাবাদ থেকে ২ হাজার ৯০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বাজেয়াপ্ত করেছে। এখনও ৩০০ কেজির বিস্ফোরক উদ্ধার হয়নি। পুলিশের অনুমান সন্ত্রাসীর আগেভাগেই সেইগুলিকে দেশের অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে। এই তথ্য সামনে আসার পরেই একাধিক রাজ্যে নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই বিস্ফোরক শনাক্ত করতে দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। এক আধিকারিকের কথায়, পরিস্থিতি নিরাপদ নয়। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

সূত্রের খবর, এই নিখোঁজ ৩০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (Ammonium Nitrateউদ্ধার করাই তদন্তকারীদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এই উদ্ধার না হওয়া বিস্ফোরক কোথায় রয়েছে, কার কাছে রয়েছে, তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ আধিকারিকেরা। তদন্তকারীদের অনুমান এই বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বাংলাদেশ, নেপাল হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। গ্রেফতার হওয়া সন্ত্রাসবাদীরা সীমান্ত পেরিয়ে এই বিস্ফোরক পাচার করে। একটি সার প্রস্তুতকারক সংস্থার থেকে এই বিস্ফোরক চুরি করা হয়।

আরও পড়ুন-  দিল্লি কাণ্ডে তদন্তকারীদের স্ক্যানারে ৮ সন্দেহভাজন

গোপন সূত্রে খবর, মোট ৩ হাজার ২০০ কেজি বিস্ফোরক ভারতে নিয়ে আসা হয়েছিল। স্থল, জলপথ সবেতেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি। তদন্তকারীদের আশঙ্কা, নিখোঁজ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট আরেকটি বড় সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। জঙ্গিদের টার্গেট ধর্মীয় স্থানগুলি। সূত্রের খবর, দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে ব্যবহার করা গাড়ি ও আল ফালাহ-র চিকিৎসক শাহিন শাহিদের আগ্নেয়াস্ত্র বোঝাই গাড়ি ছাড়াও আরও ২টি গাড়ি ছিল সন্দেহভাজন জঙ্গিদের কাছে। এর মধ্যে একটা গাড়ি উমরের নামে রেজিস্টার করা। গাড়িটি একটি লাল রঙের ফোর্ড ইকোস্পোর্টস। ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর রাজৌরি গার্ডেন আরটিও-তে গাড়িটি উমরের নামে নথিভুক্ত হয়।

দেখুন আরও খবর-

Read More

Latest News