বাঁকুড়া: এসআইআরের অতিরিক্ত কাজের চাপে ফের অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিএলও। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন বাঁকুড়ার বড়জোড়ার প্রাথমিক শিক্ষক কমলকুমার বিশ্বাস। ঘটনায় নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করল তৃণমূল। এসআইআর এর চাপে অসুস্থ বিএলওকে বিধাননগরের বেসরকারি মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল এলাকায়। অনৈতিকভাবে তাড়াহুড়ো করে বিএলওদের ভয় দেখিয়ে করানো হচ্ছে কাজ বলে অভিযোগ রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর। পরিবারের দাবি অসুস্থতার কথা আগে জানানো হলেও কমিশনের তরফে সেভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বাঁকুড়ার (Bankura) বড়জোড়ার কমলকুমার বিশ্বাস তিনি মাঝের মানা এলাকার বাসিন্দা। বড়জোড়ার প্রাথমিক শিক্ষক কমলকুমার বিশ্বাস বড়জোড়ার পল্লিশ্রী মানাচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ নম্বর বুথের বিএলও (BLO) হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন। ওই বুথের মোট ১৩৮৭ জন ভোটারের দায়িত্ব কমলবাবুর উপর। স্ত্রী দিপালী বিশ্বাসের অভিযোগ,” রাত জেগে দিনের বেশিরভাগ সময়ই এনুমারেসেন ফর্ম পূরণ করেছিল। অতিরিক্ত কাজের চাপ, মানসিক দুশ্চিন্তা, লাগাতার রাত জাগা, সেই চাপে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জ্ঞান হারান তাঁর স্বামী। সোমবার ভর্তি করা হয় বিধাননগরের বেসরকারি মাল্টিসুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Bidhannagar Hospital)। বুধবার হৃৎপিণ্ডে অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে তা শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।”
আরও পড়ুন: আসছে না শীত, ঠান্ডায় বাধা ঘূর্ণিঝড়! সপ্তাহান্তে দক্ষিণবঙ্গে আরও চড়বে পারদ
রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার অভিযোগ করছেন, “অন্য পেশার সঙ্গে জড়িত মানুষদেরও জোর করে এসআইআর এর কাজ করানো হচ্ছে। সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। প্রথমে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করে জমা দেওয়া যাবে। এখন আবার সেই সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নিজের মতো করে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের বসিয়েছে। আমরা এসআইআরের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু এই তাড়াহুড়োর বিরুদ্ধে।
অন্য খবর দেখুন







