Wednesday, June 11, 2025
HomeCurrent Newsআফগান মহিলাদের অধিকার রক্ষায় আমেরিকার চেষ্টা জারি থাকবে: বাইডেন

আফগান মহিলাদের অধিকার রক্ষায় আমেরিকার চেষ্টা জারি থাকবে: বাইডেন

Follow Us :

ওয়াশিংটন: বৃহস্পতিবার নারী সুরক্ষা ও অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নেমে সরব হন আফগান মহিলারা। তারা প্ল্যাকার্ড হাতে হেরাত প্রদেশের রাস্তায়। প্রতিবাদে নারী অধিকার কর্মীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এমনকি সরকারি কর্মচারীরাও অংশগ্রহণ করেন। এরপরই শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আফগানদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য অবিরত চেষ্টা চালিয়ে যাবে আমেরিকা।

তিনি বলেন, আমরা আফগান জনগণের জন্য, বিশেষ করে নারী ও মেয়েদের মৌলিক অধিকারের জন্য কথা বলা অব্যাহত রাখব। যেমন ভাবে আমরা সারা বিশ্বে নারী ও মেয়েদের জন্য কথা বলছি। এবং আমি নিশ্চিত যে, মানবাধিকার আমাদের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দু হবে।

 

তালিবানি জমানায় নারী সুরক্ষা, শিক্ষার সুযোগ ও সরকারি কাজে অংশগ্রহণের দাবিতেই এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা। প্রতিবাদীদের প্ল্যাকার্ডে স্পষ্ট লেখা ছিল, ‘’নারীদের ছাড়া কোনও সরকার স্থায়ী হতে পারে না, শিক্ষা, কর্মক্ষেত্রে নারীদের সমানাধিকার দেওয়া হোক ।’’

আরও পড়ুন: আল-কায়েদার জিহাদ ঘোষণায় কাশ্মীর প্রসঙ্গ, ষড়যন্ত্রকারী পাকিস্তান!

গত দু’দশক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবাধীন থাকাকালীন দেশটিতে যথেষ্ট নারী স্বাধীনতার উন্মেষ ঘটে। শিক্ষা থেকে সংস্কৃতি, বিভিন্ন পেশায় নিজেদের অংশগ্রহণ বাড়িয়েছে মহিলারা। বোরখায় পর্দাসীন জীবনে ছোঁয়া লেগেছে পশ্চিমী সংস্কৃতির। যারফলে সেদেশের নারীরাও কিছুটা স্বাদ পেয়েছিল মুক্ত চেতনা আর স্বাধীনতার। কিন্তু রাজনৈতিক পালাবদলের ফলে তাঁদের দু’চোখ ভরে উড়তে দেখার স্বপ্নগুলো এক লহমায় বিচূর্ণ হয়ে যাবে হয়ত তাঁরা এতটাও ভাবতে পারেননি।

সম্প্রতি হেরাত প্রদেশে কো-এডুকেশন ব্যবস্থা রদ করেছে সদ্য ক্ষমতায় আসা তালিবান। পরিবর্তে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য পৃথক শিক্ষা প্রচলন চালু করা হবে বলে জানিয়েছে কট্টরপন্থী গোষ্ঠীটি। যারফলে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বহু মেয়েই বঞ্চিত হতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা: তদন্তভার হাতে পাওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট দিল CBI

অন্যদিকে দেশের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা ন্যাশনাল রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন ফেসিলিটিস ইন আফগানিস্তানে বহু মহিলাই কাজ করতেন। কিন্তু তালিবান অধিগ্রহণের পর সেই সমস্ত কর্মরত মহিলাদের চাকরি থেকে অপসারিত করা হয়। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই নারী স্বাধীনতার বিষয়টি প্রশ্নের মুখে পড়ে।

RELATED ARTICLES

Most Popular