কলকাতা: রাজ্যপালের (Governor CV Anand Bose) সঙ্গে দেখা করার জন্য শনিবার দার্জিলিংয়ে (Darjeeling ) তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে তৃণমূল। ওই দলে থাকছেন দুই সাংসদ মহুয়া মৈত্র, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজভবনের উল্টোদিকের ধরনা মঞ্চ থেকে এ কথা জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
এদিন অভিষেক রাজ্যপালের উদ্দেশে বলেন, আমারা সৌজন্যের খাতিরে এই তিনজনকে দার্জিলিংয়ে পাঠাচ্ছি। তাই বলে আমাদের সৌজন্যকে দুর্বলতা ভাববেন না। আপনি যতদিন ইচ্ছে দার্জিলিংয়ে থাকুন। খান দান, চা খান, ঘুরে বেড়ান। আমাদের কোনও তাড়াহুড়ো ১০ দিন হোক, ১৫ দিন হোক। কোনও সমস্যা নেই আমাদের। আমরা এখানে বসে থাকব। আপনি যেদিন আসবেন, আমাদের ৩০ জনের সঙ্গে আপনাকে দেখা করতে হবে। দশজন ১০০ দিনের কাজের উপভোক্তা, দশজন সাংসদ এবং দশজন মন্ত্রী, সব মিলিয়ে ৩০ জন আপনার সঙ্গে দেখা করবেন। তবে রাজ্যপাল দার্জিলিংয়ে আছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। একটি সূত্র বলছে, তিনি আবার দিল্লি উড়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ক্ষোভে ফুঁসছে কামদুনি, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনা
এদিনও রাত পর্যন্ত ধরনা মঞ্চে সভা চলে। একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ, নেতা ভাষণ দেন। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন ইস্যুতে লাগাতার ধরনা বা অবস্থানে বসলে যেমন নেতাদের ভাষণের পাশাপাশি গান, কবিতা ইত্যাদির আয়োজন করা হত, গত দুদিন ধরে অভিষেকের ধরনা মঞ্চেও তাই হচ্ছে। বাংলায় অভিষেকের এ ধরনের কর্মসূচি এই প্রথম। তৃণমূলের পোড় খাওয়া প্রবীণ নেতারা অভিষেকের মধ্যে মমতারই ছায়া দেখতে পাচ্ছেন।
অভিষেক-সহ তৃণমূলের তাবড় নেতারা ভাষণে রাজ্যপাল, বিজেপি এবং কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেন। অভিষেক বলেন, আমরা এখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান চালাচ্ছি। গতকাল কয়েকজনকে রাজভবনের গেটের কাছে জয় বাংলা স্লোগান দিতে শুনলাম। আমি বললাম, ওরে এরকম করিস না। আর কয়েক মাস পর রাজভবনে তৃণমূলেরই কেউ বসবেন। তৃণমূলের কেউ না হলে বাংলার কেউ বসবেন।
এদিকে রাজভবন সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কী করে শাসক তৃণমূল রাস্তা আটকে মঞ্চ তৈরি করে ধরনা চালাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির প্রশ্ন, মন্ত্রগুপ্তির শপথ নেওয়া মন্ত্রীরা রাস্তা আটকে ধরনায় বসতে পারেন কি?