কলকাতা: আইনজীবী কিশোর দত্তকেই ফের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) করল রাজ্য সরকার। তাঁর নাম নবান্ন আগেই পাঠিয়েছিল রাজভবনে রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য। রাজ্যপাল তাতে সম্মতি দিয়েছেন। শনিবার রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কিশোরের নিয়োগের কথা জানিয়েছে।
সম্প্রতি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় অ্যাডভোকেট জেনারেল পদে ইস্তফা দেন। তারপর থেকে ওই পদটি ফাঁকাই ছিল। সৌমেন্দ্রনাথের আগে কিশোর দত্তই অ্যাডভোকেট জেনারেল ছিলেন। তিনি আচমকাই ইস্তফা দেওয়ায় সৌমেন্দ্রনাথকে এজি করা হয়।
২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর কোনও অ্যাডভোকেট জেনারেলই পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেননি। কেউ এক বছরের মাথায়, কেউ দুই বছরের মাথায় পদ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ইস্তফা দেওয়ার পর সৌমেন্দ্রনাথ তাঁর অসন্তোষ গোপন করেননি। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিভিন্ন আইনি বিষয়ে রাজ্য সরকারের একশো শতাংশ সহযোগিতা পাননি। এজির কাজকর্মে আবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিজয় দিবসের ৫২ বছর পূর্তি দিবস পালিত
সম্প্রতি বহু মামলায় কখনও হাইকোর্টে, কখনও সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের মুখ পুড়েছে। বিশেষ করে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক মামলায় রাজ্য সরকারকে আদালতে লেজে গোবরে হতে হয়েছে। সরকারি আইনজীবী এবং এজির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একাধিকবার সরকারি আইনজীবীদের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এমনকী তিনি তা নিয়ে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককেও ছেড়ে কথা বলেননি।
সৌমেন্দ্রনাথ এজি পদে ইস্তফা দেওয়ার দিন কয়েক আগেই পাবলিক প্রসিকিউটর দেবাশিস রায় পদত্যাগ করেন। তিনিও অভিযোগ করেন, আইন বোঝেন না, এমন অনেক আইনজীবী তাঁর কাজে হস্তক্ষেপ করেছেন কিংবা ভুল পরামর্শ দিয়েছেন। ফলে অনেক মামলায় রাজ্য সরকারকে বিপদে পড়তে হয়েছে।
দেখুন আরও অন্য খবর: