নয়াদিল্লি: সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ উধাও। এমনই অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। সংসদের নতুন ভবনে প্রবেশের আগে সব সদস্যকে একটি করে সংবিধান দেওয়া হয়। তারপরেই অধীর চৌধুরী বুধবার এই অভিযোগ তোলেন। তাতে অধীর বলেন, মূল সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লিখিত ‘সমাজতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে। ওরা বলতে পারে এই সংবিধানটি পুরনো সংস্করণ। কিন্তু, সংশোধিত সংস্করণই দেওয়া উচিত ছিল। প্রথম বা মূল সংবিধান দেওয়া হয়েছে বললেও আমার মনে হয় এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করেছে সরকারপক্ষ, অভিযোগ লোকসভার বিরোধী দলনেতার।
প্রসঙ্গত, ইন্দিরা গান্ধী জমানায় জরুরি অবস্থা চলাকালীন ১৯৭৬ সালে ৪২-তম সংবিধান সংশোধনের সময় ‘সমাজতান্ত্রিক’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি প্রস্তাবনায় যোগ করা হয়। কংগ্রেস নেতার এই অভিযোগ অবশ্য, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল উড়িয়ে দিয়েছেন। সদস্যদের অসংশোধিত ও প্রথম সংবিধান দেওয়া হয়েছে। যখন সংবিধান গৃহীত হয়েছে, তাতে যা ছিল, তা অপরিবর্তিত রেখেই সদস্যদের দেওয়া হয়। পরে ৪২-তম সংশোধনী এসেছে। এমপিদের যা দেওয়া হয়েছে, তা মূল সংবিধান।
আরও পড়ুন:ফের নুসরতকে চিঠি ইডি’র
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গণেশ চতুর্থীর দিন এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকল দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে যে সংসদ ভবন বহু রাজনৈতিক উত্থান-পতনের প্রত্যক্ষদর্শী, সেই বাড়ি ছেড়ে নতুন ভবনের চৌকাঠ পার করেন সাংসদরা। তখনই তাঁদের হাতে একটি করে সংবিধান তুলে দেওয়া হয়। পুরনো সংসদ ভবনের নতুন নামও প্রস্তাব করলেন মোদি। ‘সংবিধান সদন’ নাম প্রস্তাব করেন তিনি। তার আগে সেন্ট্রাল হলে আয়োজিত এক বিদায়ী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আজ বিশ্ব ভারতের স্বনির্ভরতা নিয়ে আলোচনা করছে। তাই এখন বিশাল দৃষ্টি দিয়ে ভারতকে দেখতে হবে। ছোট ক্যানভাসে যেমন বড় ছবি আঁকা যায় না, তেমনই দেশ সম্পর্কে বড় বড় ভাবনা ভাবতে হবে।
এই সংসদে প্রায় ৪ হাজার আইন পাশ হয়েছে। নতুন ভবনে যাওয়া কেবলমাত্র একটা অনুষ্ঠান নয়, এক নতুন ভবিষ্যতের সূচনা। প্রতিটি সাংসদ যেন এই দায়িত্ব পালন করেন। এই সংসদেই মুসলিম মা-বোনেরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। তাৎক্ষণিক তিন তালাক রোধে বিল পাশ হয়েছে। ৩৭০ ধারা বিলোপ হয়েছে।