উত্তরকাশী: ১৭ দিনের সুড়ঙ্গবাসীদের (Uttarkashi Tunnel Resque) জীবনে নতুন ভোর হল বুধবার। মঙ্গলবার রাতে বাইরে বেরিয়ে আসার পর তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে অস্থায়ী হাসপাতালে। এদিন সকালে স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ প্রবীণ কুমার জানান, ৪১ জন কর্মীই সুস্থ রয়েছেন। কোনও গুরুতর অসুস্থতা বা অসুখের চিহ্ন নেই।
উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে বের করার পর তাঁদের নিয়ে যাওয়া চিন্যালিসৌরের (Chinyalisaur) স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে আগেভাগেই যাবতীয় আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা জোগাড় করে রাখা ছিল। বুধবার সকালে তাঁদের নানারকমের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। এগুলি হয়ে গেলেই তাঁদের অধীর অপেক্ষায় থাকা বাড়ির লোকের সঙ্গে ছেড়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আজ অমিত-গর্জনের অপেক্ষায় রাজ্য বিজেপি
আটক কর্মীদের একজন বিশ্বজিৎকুমার বর্মা ১২ নভেম্বর সুড়ঙ্গ ধসে (Tunnel Colapse) পড়ার কথা মনে করেন। বলেন, আমরা সেই মুহূর্তেই বুঝে গিয়েছিলাম আমাদের বেরনোর রাস্তা বন্ধ। প্রথম ১০-১২ ঘণ্টা খুবই ভয় এবং সমস্যায় পড়েছিলাম। কিন্তু, তারপরেই যখন জলের পাইপ দিয়ে খাবার পাঠানো হল তখন আতঙ্ক কিছুটা হলেও কাটল। ১০ দিন পর ফের একটা পাইপ ঢুকল শুধু খাবার দেওয়ার জন্য। তখন আমরা ভাত, ডাল, রুটি, শুকনো ফলের মতো সব খাবার পেয়েছি, বলেন বর্মা।
ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা সুবোধকুমার বর্মা সংবাদ সংস্থাকে বলেন, প্রথম দিনটা খুবই কষ্ট হয়েছিল। ভয়ও করছিল। তবে আমার কোনও শারীরিক সমস্যা হয়নি। এখনও নেই। উল্লেখ্য, এদিন সকালে তাঁদের ডাক্তারদের নির্দেশমতো খাবার দেওয়া হয়েছে। গাড়োয়াল ডিভিশনের স্বাস্থ্য অধিকর্তা (Health Director of Garhwal Division) প্রবীণ কুমার বলেন, কোনও কর্মীরই গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়নি। কয়েকজনের প্রস্রাবের সমস্যা এবং অ্যালার্জি হয়েছিল। তার ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
অন্য খবর দেখুন