আই এস এল-এ তিন নম্বর স্থান পাওয়ার পর আবার মাঠে নামতে চলেছে এটিকে মোহনবাগান। এবার তাদের সামনে এ এফ সি কাপের মূল পর্বে খেলার লড়াই। মঙ্গলবার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এটিকে মোহনবাগানের সামনে শ্রী লঙ্কার ব্লু স্টার স্পোর্টস ক্লাব। এ এফ সি কাপের প্রাথমিক পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ এটি। এই ম্যাচে মোহনবাগান জিতলে তাদের পরের রাউন্ডে খেলতে হবে। সেই ম্যাচটিও কলকাতায় ১৯ এপ্রিল।
মোহনবাগানের সমর্থকদের পক্ষে খারাপ খবর হল মঙ্গলবারের ম্যাচে খেলতে পারছেন না রয় কৃষ্ণ এবং সন্দেশ ঝিঙ্গন। নিকট আত্মীয়ের মৃত্যু সংবাদ এসেছে কৃষ্ণের দেশ থেকে। তিনি সেজন্য দেশে ফিরে যাবেন। আর বাহারিনে ভারতের হয়ে খেলতে গিয়ে বেলারুশ ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন সন্দেশ। তাঁর চোট এখনও পুরোপুরি সাড়েনি। তাই তাঁকে খেলানোর ঝুঁকি নিচ্ছেন না কোচ জুয়ান ফেরান্দো। গত বছর আই এস এল-এ রানার্স হওয়ার জন্য এটিকে এবার এ এফ সি কাপে প্রাথমিক পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে। গত বছর তারা এ এফ সি কাপে অনেক দূর পৌছেছিল। কিন্তু উজবেকিস্তানের নাসাফ এফ সি-র কাছে ছয় গোল খেয়ে তাদের যাত্রা শেষ হয়ে যায়। এবার তারা কত দূর যায় তাই এখন দেখার।
তবে নাসাফের তুলনায় ব্লু স্টার নেহাতই দুর্বল দল। এ এফ সি কাপের নুয়ম অনুযায়ী চার বিদেশিকে খেলানো যায়। কিন্তু শ্রী লঙ্কার দলটি নিয়ে এসেছে তিন বিদেশি। দলের কোচ বান্দা সামারাকুন টিমের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব একটা কিছু বলতে চাননি। তবে বলেছেন, ” আমাদের টিম লড়াই করবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।” ওদিকে রয় কৃষ্ণ ব্যাক্তিগত কারণে দেশে ফিরে যাওয়ায় মোহনবাগানের দল গঠন অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। কৃষ্ণ থাকলে কোন চার বিদেশিকে খেলানো হবে তা নিয়ে একটু সমস্যায় পড়তে হত জুয়ান ফেরান্দোকে। কারণ নিয়ম অনুযায়ী চার বিদেশির মধ্যে একজন এশিয়ানকে রাখতেই হবে। এখন যা পরিস্থিতি অস্ট্রেলিয় স্ট্রাইকার ডেভিড উইলিয়ামসের শুরু করতে কোনও অসুবিধে নেই। বাকি তিন বিদেশি হবেন ডিফেন্সে তিরি এবং মাঝ মাঠে হুগো বুমো এবং জনি কাউকো। ডিফেন্সে তিরির সঙ্গী হতে পারেন প্রীতম কোটাল। আর শুভাশিস বসুর সঙ্গে সাইড ব্যাকে খেলতে পারেন প্রবীর দাস এবং আশুতোষ মেহেতার মধ্যে একজন। মাঝ মাঠে এবং ফরোয়ার্ডে কাউকো এবং বুমোর সঙ্গী হবেন দীপক টেংরি, লেনি রডরিগস, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংরা। গোলে অমরিন্দর সিং। জানা গেছে মোহনবাগান ৪-২-৩-১ ছকে খেলবে।
শ্রী লঙ্কার অর্থনেটিক পরিস্থিতি খুব খারাপ। তাদের ফুটবলারদের হাতে যে হাত খরচ দেওয়া হয়েছে তা খুবই সামান্য। এবং বলে দেওয়া হয়েছে খুব প্রয়োজন না পড়লে তা যেন খরচ করা না হয়। কলকাতায় আসার আগে নেপালে মাচিন্দ্রা এফ সি-কে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়ে এসেছে ব্লু স্টার। তবে মোহনবাগানের যা শক্তি তাতে বড় ব্যবধানে হার এড়ানো তাদের পক্ষে কঠিন।
বহু দিন পর কলকাতা মাঠে দর্শক নিয়ে খেলা হবে। সল্ট লেক স্টেডিয়ামে দর্শক ধরে ৬৬ হাজার। তবে এর অর্দ্ধেক মানে ৩৩ হাজারের বেশি দর্শক মাঠে থাকবে না। মোহনবাগানের দশ হাজার সদস্য বিনা পয়সায় টিকিট পাবেন। বাকি টিকিটের দাম ২৯৯ এবং ৪৯৯ টাকা। টিকিট বিক্রির হার ভাল। আশা করা হচ্ছে হাজার ত্রিশেক দর্শক খেলা দেখতে মাঠে থাকবে।