কেরালা ব্লাস্টার্স–১ জামশেদপুর এফ সি–১
(আদ্রিয়ান লুনা) (প্রণয় হালদার)
(প্রথম লেগ সেমিফাইনালে কেরালা ১-০ গোলে জয়ী ছিল। সব মিলিয়ে তারা ২-১ গোলে জিতল)
পাঁচ বছর পর আই এস এল-এর ফাইনালে উঠল কেরালা ব্লাস্টার্স। এবার নিয়ে তিন বার। শেষ বার তারা ফাইনালে উঠেছিল ২০১৬ সালে। প্রথম লেগে ১-০ এগিয়ে থাকায় কেরালা মঙ্গলবার ভাস্কোর তিলক ময়দানে শুরু থেকেই অ্যাটাকিং ফুটবল খেলতে শুরু করে। দু মিনিটের মাথায় দিনের সুবর্ণতম সুযোগটি নষ্ট করেন আলভারো ভাজকুয়েজ। পিছন থেকে একটা ওভারহেড লব যখন তিনি ধরলেন, তখন সামনে শুধু গোলকিপার রেহনেশ। আলভারোর লব গোল পোস্টের বাইরে যায়। এর একটু পরেই আবার গোলে বল ঠেলেছিলেন জোস পেরেরা দিয়াজ। কিন্তু অফ সাইডের অজুহাতে সেটা গোল হয়নি। এ রকম চলতে চলতে ১৮ মিনিটের মাথায় গোল করে ফেলল কেরালা। মুভমেন্ট থেকে বল পেয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে চমৎকার শটে গোল করলেন অধিনায়ক উরুগুয়ের আদ্রিয়ান লুনা। এর পর জামশেদপুরও একটা বল গোলে ঢুকিয়েছিল। ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে গোলে বল ঠেলেছিলেন ড্যানিয়েল চিমা। কিন্তু অফ সাইডের অজুহাতে সেটাও গোল হয়নি।
বিরতির আগে গোল না পেলেও জামশেদপুর কিন্তু আক্রমণে ঢিলে দেয়নি। তখন তারা ০-২ গোলে পিছিয়ে। তাই বাড়তি তাগিদ থাকার দরকার ছিল। সেই তাগিদ তারা দেখিয়েওছে। কিন্তু অন্য দিন যে গুছোনো ব্যাপার থাকে সেটা এদিন ছিল না। তবু বিরতির পরেই তারা গোলটা সোধ করে। গ্রেগ স্টূয়ার্টের কর্নার থেকে গোল করেন প্রণয় হালদার। কিন্তু এর পর জামশেদপুর গোলের জন্য মাথা কুটে মরলেও তারা আর গোল পায়নি। কেরালার গোলকিপার প্রাভসুখন গিল তাদের সামনে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান। তবে ম্যাচের সেরা আদ্রিয়ান লুনা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে আর গোল হয়নি। প্রথম লেগে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকার সুবাদে ফাইনালে গেল কেরালা। এর আগে ২০১৪ এবং ২০১৬–দুবার ফাইনালে উঠেও তারা ট্রফি পায়নি। এবার পায় কি না তাই এখন দেখার। আর জামশেদপুরকে লিগ-শিল্ড জিতেই এবারের মতো সন্তুষ্ট থাকতে হল।