পুরুলিয়া: পুজো (Puja) এলেই ঢাকের (Dhak) কদর ওঠে, কোথাও কোথাও বাঁশির ডাক পড়ে। তাঁদের মুখে ফোটে হাসি। কিন্তু, তারপর? সারা বছর অনিশ্চয়তা। বাঁশের (Bamboo) কাজ করে দিন গুজরান। পুজোর সময়ও পরিবারের লোকেরা সংসার চালাতে তাই করেন। পুরুলিয়ার (Purulia) ১ নম্বর ব্লকের কোটলোই গ্রামের অনেকগুলো পরিবার এভাবে দিনাতিপাত করেন। তাদের পেশা পূর্ব পুরুষ থেকে চলে আসা ঢাক বাজানো। মূলত উৎসব অনুষ্ঠানে তাঁদের ডাক পরে। সামনেই দুর্গাপুজো (Durga Puja) তাই তাঁদের পরিবারের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। দিন আনা দিন খাওয়া পারিবারের সারা বছর এই কাজ থাকে না। তাঁদের ডাক পরে পুজোয় বাড়ির অনুষ্ঠানে। এখন সরকারের বেশ কিছু অনুষ্ঠানে (Programme) তাঁদের ডাক পড়ে। বাকি সময় তাঁদের অন্যতম পেশা বাঁশের তৈরি করা জিনিসপত্র।
বাঁশ কিনে এনে সেই বাঁশ কেটে তৈরি করতে হয় বিভিন্ন সামগ্রী। কুলো,ঝাঁটা, ডুলি তৈরি করে তা শহরে নিয়ে এসে বিক্রি করেন এই পরিবারের মহিলারা। পরিবারের মুখে ভালো-মন্দ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন পারিবারের মহিলারা। তাতে সামান্য আয় হয় এই পরিবারগুলির। সংসারের কাজ কর্ম সেরে সারাদিনে ৫টির বেশি সামগ্রী বানাতে পারেন না তাঁরা। তাঁদের বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। সরকারের অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পেলেও সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডাক পেয়েও তাঁদের শিল্পীকার্ড বা ভাতা কিছুই হয়নি। ২০১৭ সালে আবেদন পত্র জমা করার পরও শিল্পী ভাতা পাননি গ্রামের অধিকাংশ ঢাক শিল্পীরা। এমনও দেখা গিয়েছে শিল্পী ভাতা পেয়েও তা বন্ধ করে দেওয়ার পর দেওয়া টাকা কেটে নেয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন নিজ্জর নিয়ে পশ্চিমকে কঠোর বার্তা বিদেশমন্ত্রীর
দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলির মাথা গোঁজার বাড়ির অবস্থা অত্যন্ত করুণ। ত্রিপল দিয়ে কোনওরকমে দিন কাটায়। তাঁরা অল্পেতেই খুশি। পরিবারের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার জন্যে রাজ্যের বাইরে যায় বেশ কয়েকজন শিল্পী। তবে এবারের পুজোতে গ্রামের সবাই ডাক পেয়েছেন। শহর এবং জেলার বিভিন্ন শহরে তাঁরা পুজোর কয়েকটা দিন ঢাক বাজিয়ে আনন্দ দেবেন। যেখানে সবাই নতুন জামাকাপড় পরে যখন প্রতিমা দর্শন করতে বেরোবেন। সেই সময় বাঁশিশিল্পী ডাক্তার কালিন্দী, ঢাক শিল্পী কুচিত কালিন্দী, ঢাক শিল্পী অমূল্য কালিন্দীর পরিবারের ছেলে মেয়েরা আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না। তখন তারা নিয়মিত কসরৎ করেন বাড়িতে।
আরও খবর দেখুন