বীরভূম: গরু পাচারের (Cow Smuggling) অভিযোগ ঘিরে আগেই খবরের শিরোনামে এসেছে বীরভূম (Birbhum)। গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। সেই নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই বেআইনি পাথর খাদানের কারবার নিয়ে নয়া অভিযোগ। ভুয়ো সরকারি বিল ছাপিয়ে পাথরবোঝাই লরি (Illegal Stone Mining)থেকে তোলাবাজির অভিযোগ (Allegation) করেছেন রামপুরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাম কাউন্সিলর সঞ্জীব মল্লিক। তিনি আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। সেই মামলায় কলকাতার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajasekhar Mantha) নির্দেশ, অবিলম্বে এই বিষয়ে আবেদনকারীকে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে নোটিস (Notice) দিয়ে জানাতে হবে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলার শুনানি।
আবেদনকারীর অভিযোগ, প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা আদায় হয় পাথর খাদানের গাড়ি থেকে। কিন্তু সেই টাকা কোনও ভাবেই রাজ্যের কোষাগারে জমা পড়ে না। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। ওই কাউন্সিলরের দাবি, আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক। মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, এই টাকা আদায় নিয়ে আগেও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বগটুইয়ের ঘটনা তার অন্যতম উদাহরণ। বগটুইয়ের ঘটনার পর থেকে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও ফের গাড়ি থেকে টাকা তোলা শুরু হয়েছে।
আবেদনকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, মুরারই, রামপুরহাট, মহম্মদ বাজার ও নলহাটি সহ বীরভূম জেলার ছয়টি জায়গা থেকে একটি নির্দিষ্ট কার্বন স্লিপের মাধ্যমে লরি ড্রাইভারদের (Drivers) কাছ থেকে নগদ টাকা আদায় করা হয়। ওই স্লিপ সরকারিভাবে দেওয়া হলেও সেই টাকা সরকারের ঘরে জমা পড়ে না।