বনগাঁ: ২০২১-এ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মতুয়া ভোট ঝুলিতে ভরতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জোর গলায় বলেছিলেন, দেশজুড়ে নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি চালু করা হবে। কিন্তু ভোট মিটতেই এনআরসি-সিএএ নিতে মুখে কুলুপ আঁটে কেন্দ্র। একাধিকবার শাহের মন্ত্রক সংসদে জানায় দেশজুড়ে এনআরসি চালু নিয়ে এখন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ভোটের ফল বেরোনোর একবছর পর বাংলায় পা দিলেও এনআরসি-সিএএ চালু নিয়ে নীরব থাকলেন অমিত।
কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অমিত শাহের সঙ্গে এনআরসি-সিএএ নিয়ে কোনও কথা হয়নি। তিনি বলেন, শুধুমাত্র অফিসিয়াল অনুষ্ঠানের জন্যই তিনি এসেছিলেন। অন্যান্য কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি। সিএএ নিয়ে কোনও কথাই হয়নি। তবে সিএএ শীঘ্রই চালু হবে। এর আগে মার্চের মাঝামাঝি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই সংসদে বলেন, সারা দেশে এনআরসি কার্যকরের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার এখন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।
২০১৯-এর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিতর্কের মাঝেই দেশব্যাপী এনআরসি-র প্রসঙ্গ খবরে আসে। বিজেপির লোকসভা নির্বাচনের ইস্তেহারেও এনআরসি চালুর প্রসঙ্গ স্থান পায়। উত্তর-পূর্বের রাজ্য অসমে এনআরসি হয়েছে। ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণস্বরূপ যথোপযুক্ত তথ্য দিতে না পারায় ৩.৩ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার নাম বাদ পড়েছিল।
আরও পড়ুন: Marriage in Ukraine Hospital: ইউক্রেনের যুদ্ধের দিনগুলিতে ওকসানা আর ভিক্তরের প্রেম
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এনআরসি কিংবা সিএএ নিয়ে গোটা দেশের মানুষের মধ্যে একটা চাপা আতঙ্ক রয়েছে। বিরোধী দলগুলিও বারংবার এনআরসি, সিএএ বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে গুজরাট, ত্রিপুরা, কর্নাটক বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভোট রয়েছে। সে কারণেই এনআরসি ইস্যুতে মেপে পা ফেলতে চাইছে মোদি সরকার।