কলকাতা : সোমবার সকাল । অনুপস্থিত জেলা জজ । যে কারণে পিছিয়ে গেল কবর থেকে ছাত্রনেতা আনিস খানের দেহ তোলার কাজ। আদালত যে আগেই বলেদিয়েছিল, জেলা জজ না এলে কবর খোঁড়া যাবে না ।
ঘড়ির কাঁটা ১২টার কাছাকাছি । ফের শুরু হল ফিশফিশানি । শুরু হল কবর খোঁড়ার কাজ। সঙ্গে আল্লাহ্-হু-আকবর । হাতে করে ফেলা চলল মাটিও । আস্তে আস্তে তোলা হল নরম মাটি-কাদা লেগে থাকা আনিসের দেহটা । মুড়িয়ে ফেলা হল লাল কাপড়ে। এবার গন্তব্য কলকাতা । এসএসকেএম । সবুজ যাত্রা পথ গড়ে পুলিশের হুইসেল বাজিয়ে গাড়ি ঢুকল হাসপাতালের ঘেরাটোপে । দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য । প্রত্যক্ষ করবেন তিন জন শল্য চিকিৎসক । ম্যাজিস্ট্রেট । জেলা আদালতের বিচারক।
এত কিছু তো হল । সব কিছুর সঙ্গে একটা প্রশ্ন মাথায় যেন টোকা দিচ্ছিল । কবর থেকে তুলে নিথর শরীরটার ময়নাতদন্ত করলে আদৌ তথ্য প্রমাণ মিলবে তো ?
কলকাতা টিভি ডিজিটাল এই প্রশ্নটাই ছুড়েছিল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ শুদ্ধোধন বটব্যালের কাছে । তাঁর উত্তর, দেহ কবর দিলেই পচন শুরু হয় না । আর পচন ধরলে? চিকিৎকের মন্তব্য, কবর দেওয়ার হলেও প্রায় এক মাস লাগে দেহে পচন ধরতে। তার আগে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করলে কোনও সমস্যা হয় না। আর দেহে আঘাতগুলি থেকেই যায় ফলে । তাই, দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সব কিছুই স্পষ্ট আসে- আশ্বাস বটব্যালের ।
আরও পড়ুন- Anis Khan Death: সোমবার কবর থেকে তোলা হবে আনিসের দেহ, সহযোগিতার আশ্বাস পরিবারের
একই বিষয়ে অপর ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অজয়কুমার গুপ্ত জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফায় অনেক বিষয় স্পষ্ট করার সুযোগ থাকে । কারণ, প্রথম দফার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চিকিৎকের কাছেই থাকে । তিনি তা থেকে বুঝি বাকি কাজটা করতে পারেন । তিনি আরও বলেন, ভিসেরায় মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট বোঝা যায়। কাজেই প্রথম বার ময়নাতদন্ত করার পর আনিসের দেহ কবর দেওয়ায় তদন্তে কোনও সমস্যা হবে না।