skip to content
Friday, July 5, 2024

skip to content
Homeজেলার খবরবাঁকুড়ায় দুটি স্কুল বন্ধের মুখে, কোথাও পড়ুয়া নেই, কোথাও শিক্ষক

বাঁকুড়ায় দুটি স্কুল বন্ধের মুখে, কোথাও পড়ুয়া নেই, কোথাও শিক্ষক

Follow Us :

বাঁকুড়া: স্কুল আছে, আছেন শিক্ষক। কিন্তু, অভাব শুধু পড়ুয়ার। আর তার জেরেই বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে বাঁকুড়ার দুই স্কুল। জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা ব্লকের নেতুরপুর গার্লস জুনিয়র হাইস্কুল এবং ইন্দাস ব্লকের বেলবান্ধী জুনিয়র হাইস্কুল ছাত্রছাত্রীর অভাবে বন্ধের মুখে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় ছাত্রীদের কথা ভেবে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পঠনপাঠনের জন্য ২০০৯ সালে শুরু হয়েছিল নতুনপুর গার্লস জুনিয়র হাইস্কুল। ৯০ জন ছাত্রীকে নিয়ে শুরু হয়েছিল স্কুলের ক্লাস। কিন্তু ধীরে ধীরে এই স্কুলের ছাত্রীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমতে শুরু করে। স্থানীয় ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে এই স্কুলে ছাত্রীর সংখ্যা সাকুল্যে ৩৬। শিক্ষিকা রয়েছেন ৫ জন। এত কম ছাত্রী নিয়ে স্কুল চালানো সম্ভব নয় বলে এই স্কুল বন্ধ করে দিতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর।

এই এলাকায় মানুষজনের দাবি, স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে সমস্যায় পড়বে ছাত্রীরা। এমনই দাবি তুললেন স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্যরাও। স্কুলে পাঠরত ছাত্রীদের দাবি, বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলে তারা সমস্যায় পড়বে। অনেক দূরের স্কুলে যাতায়াত করে পড়াশুনা করতে অসুবিধায় পড়তে হবে। স্কুল যাতে বন্ধ না হয়, সেই দাবিও তোলা হয়েছে ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের তরফে।

আরও পড়ুন – মেদিনীপুরে বাসের রেষারেষির বলি বাইক আরোহী যুবক

ইন্দাস ব্লকের বেলবান্ধী জুনিয়র হাইস্কুলও বন্ধের মুখে। ২০১১ সালে পথ চলা শুরু হয়েছিল এই স্কুলের। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শুরুতে এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৯০। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাবে এই স্কুল থেকে ছিটকে গিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা, এমনটাই দাবি এলাকার মানুষের। একমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকার জন্য স্কুলে ভর্তি হয়নি ছাত্রছাত্রীরা, এমন দাবি তুলেছেন এলাকার মানুষ।

বারবার স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের দাবি তোলা হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি বলে দাবি এলাকায় মানুষের। বর্তমানে এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা শূন্য। একজন শিক্ষিকা ছিলেন, তাঁকেও এই স্কুল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্য স্কুলে। তাই এই স্কুলকেও আপাতত তুলে দেওয়ার পথে জেলা শিক্ষা দফতর।

RELATED ARTICLES

Most Popular