বাঁকুড়া: সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের মতো এবার বাঁকুড়ার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও জারি করা হল বিধিনিষেধ। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, জেলার পর্যটন কেন্দ্রের হোটেলগুলিতে থাকতে গেলে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট কিংবা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক।
হোটেলগুলিকেও কোভিড প্রোটোকল মেনে চলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিধিনিষেধ শিথিল হতেই জেলার পর্যটনগুলিতে পর্যটকের ভিড় শুরু হয়েছে। এর জেরে ছড়াতে পারে সংক্রমণ। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই আগেভাগেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্রে। মুকুটমণিপুর, শুশুনিয়া, বিহারীনাথ পাহাড়, বিষ্ণুপুরের মল্লরাজাদের ইতিহাস, জঙ্গল ঘেরা সুন্দরী জয়পুর আর মা সারদার পুণ্যভুমি জয়রামবাটি- সবমিলিয়ে লাল মাটির বাঁকুড়া হাতছানি দেয় পর্যটকদের।
ফি বছর দেশ বিদেশের পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। করোনার প্রথম ঢেউ সামলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছিল জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি। দ্বিতীয় ঢেউয়ের থাবায় আবারও মুখ থুবড়ে পড়েছিল জেলার পর্যটন শিল্প। বিধিনিষেধ এখন অনেকটাই শিথিল হয়েছে।
জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে হাজির হচ্ছেন পর্যটকরা। এদিকে দরজায় কড়া নাড়ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার জানান, ‘জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলির হোটেলে থাকার জন্য আরটি-পিসিআর রিপোর্ট কিংবা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের সার্টিফিকেট আবশ্যিক করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও হোটলে মালিকদের ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
হোটেল ব্যবসায়ী অসিতকুমার চন্দ বলেন, ‘প্রশাসনের এই উদ্যোগের ফলে কোভিড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেই মনে করছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের চিন্তাও কমবে।’ পূজা কর্মকার নামে এক পর্যটক বলেন, ‘প্রশাসনিক এই নির্দেশিকার ফলে পর্যটকরা নির্ভয়ে ঘুরতে পারবেন। সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাও কমবে।’