কেশপুর: ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) হয়ে এলেও এলাকা এড়ালেন শিউলি সাহা (Seuli Saha)।রবিবার ‘দিদির দূত’ হয়ে কেশপুরের (Keshpur) কেওটপাড়া এলাকাতে গিয়েছিলেন কেশপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূল (TMC) নেত্রী শিউলি সাহা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে মুগবাসান গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বৈঠক করেন তিনি। তার পরপরই ওই অঞ্চলের তৃণমূল কর্মীদের একাংশ ও গ্রামবাসীরা বৈঠক স্থল থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান শিউলি সাহার বিরুদ্ধে। অবরোধে যানজট তৈরি হয়। অনেক চেষ্টা করে পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হয় কেশপুর থানার পুলিশ।
রবিবার বেলা ৩টের পর মুগবাসান বাজারের ওপর মেদিনীপুর ঘাটাল রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। নেতৃত্বে ছিল তৃণমূল ও একদল গ্রামবাসী। বিক্ষোভে শামিল তৃণমূল কর্মী আক্কাস আলি বলেন, “এলাকায় পানীয় জল প্রকল্পের কাজ স্থগিত। বন্যার পরেও কোনও উন্নয়ন করা হয়নি গ্রামে। বন্যার সময় একদল মন্ত্রী গ্রামে ঘুরে গেলেও একটাও কাজ হয়নি। দিদির দূত হিসেবে এলাকায় এলেও, বিক্ষোভ এড়াতে মুগবাসান এড়িয়ে চলে গিয়েছেন শিউলি সাহা।”
আরও পড়ুন:Jalpaiguri | আদালতে যাওয়ার পথে পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে পালিয়ে গেল দুই অপরাধী
রাজ্যে প্রায় ১২ বছর হল তৃণমূল ক্ষমতায়। কিন্তু গ্রামে সেই অর্থে কোনও উন্নয়ন হয়নি। অনুন্নয়নের একাধিক অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা অনেকেই শিউলি সাহার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন। যদিও কেশপুরের বিধায়কের দাবি, “বিক্ষোবকারীরা আর যাইহোক তৃণমূলের কেউ না। তৃণমূলের হলে সমস্যা নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারত। ওনারা বিজেপি ও সিপিআইএমের হয়ে কাজ করছেন।” তাঁর আরও দাবি, বিজেপি-সিপিআইএমের হাত ধরেই বিক্ষোভকারীরা অঞ্চল যুব তৃণমূলে প্রবেশ করেছেন।
এর আগেও বনগাঁ সহ উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় দিদির সুরক্ষাকবচ কিংবা দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গ্রামবাসী বা এলাকাবাসীর অভিযোগ মূলত বেহাল রাস্তা এবং বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে। এছাড়া পানীয় জল নিয়েও শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। কিছুদিন আগেই বীরভূমের দুবরাজপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকতেই পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডেকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জলের পাইপ লাইন অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। বহুবার প্রশাসনকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। পাশাপাশি আবাস যোজনার বাড়ি, শৌচালয়ও পাননি এলাকাবাসী। এমনকী পুকুরে স্নান করার ঘাট পর্যন্তও নেই বলে জানান তাঁরা। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন পুরপ্রধান। তাঁর আশ্বাস পেয়ে অবশেষে শান্ত হন স্থানীয়রা।