হুগলি: ফের প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূলের কর্মীদের হাতেই মার খেলেন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পাল। রাস্তায় এনে চড় মারা হয় বন দফতরের কর্মাধ্যক্ষ শ্যামলী ঘোষকে। অভিযোগ, সোমবার হুগলির গোঘাট এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেত্রী শ্যামলী ঘোষকে এভাবেই হেনস্থা করেন দলের নেতা-কর্মীরা।বন দফতরের কর্মাধ্যক্ষ শ্যামলী ঘোষকে ধাক্কা, সপাটে চড় মারা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে গোঘাট থানার পুলিশ। প্রাক্তন বিধায়কের অনুগামীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুনদলীয় বৈঠকে নেই ৩ বিধায়ক, বনগাঁয় বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্যে
প্রতিবাদে জেলার সহ সভাপতির অপসারণের দাবিতে অবরোধ করেন তৃণমূলের কর্মীরাই। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে সেই ঘটনার ছবি। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কর্মাধ্যক্ষকে হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ জনকে। তৃণমূলের নেতা নারায়ণ পাঁজার অনুগামীরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষকে। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পালের সাথে গোঘাট-১ ব্লক সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা নারায়ণ পাঁজার দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। তৃণমূলের নেতা নারায়ন পাঁজার অনুগামীরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষের অপসারণের দাবি তোলে। এদিন সেই নিয়েই দুই গোষ্ঠির মধ্যে বচসা তৈরি হয়। ঘটনার প্রতিবাদে মনোরঞ্জন পাঁজার অনগামীরা পথ অবরোধ করে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে নারায়ণ পাঁজার দাবি, ঘটনার নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ নেই। মনোরঞ্জন পালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে দলের কর্মীরা। বিজেপিকে জিততে সাহায্য করেছে সে এমন অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনা করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।