কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: দিল্লি কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে শেখ সাহদতের। তার খোঁজেই এবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার সাগরে দিল্লী পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ শাখার অফিসাররা। রবিবার সাগর থানার অন্তরগত বামনখালি গ্রামে পৌঁছন ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। সেখানেই স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তারা। জিজ্ঞেস করেন অভিযুক্ত শেখ সাহদতের সম্পর্কে। আদতে সে কে? কেনই বা দিল্লিতে গিয়েছিল এসব একাধিক তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা। কথা বলেন সাগর থানার অফিসারদের সঙ্গেও।
দিল্লি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এ রাজ্যের মহম্মদ আনসার। যার খোঁজ করতে ইতিমধ্যেই মহিষাদলে গিয়েছিল দিল্লী পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এরপরেই একে একে রহস্যের জট খুলতে শুরু করে। নাম আসে শেখ সাহদতের। এদিন স্থানীয়রা বলেন, শেখ সাহদত বামনখালি গ্রামের বাসিন্দা। এক বছর আগে চাকরি নিয়ে দিল্লি যায় সে। মাঝে মাঝেই ছুটি পেলে গ্রামে আসত। এখনও এই গ্রামে সাহদতের ভাই থাকে। জিজ্ঞাসাবাদের পর সাগর থানায় যান দিল্লী পুলিসের আধিকারিকরা।
হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা ঘিরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে শনিবার সন্ধের পর থেকেই অশান্ত হয়ে উঠেছিল দিল্লির জাহাঙ্গিপুরী৷ সোমবার তার ১০০ মিটারের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল৷ অভিযুক্তের এক আত্মীয়কে জেরা করতে এ দিন পুলিস জাহাঙ্গিরপুরী যায়৷ এলাকায় পুলিস দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়দের একাংশ৷ তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন৷ ভিড়ের মধ্যে থেকে পাথর ছুড়ে মারা হয় পুলিসকে৷
আরও পড়ুন- Hanskhali Rape: হাঁসখালিতে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও তিন
এই ঘটনায় মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ধৃত আটজনের বিরুদ্ধে অপরাধের রেকর্ড খুঁজে পাওয়া গিয়েছে৷ দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, মূল অভিযুক্তরা হল আসলাম এবং আনসার। তাদের ২ জন বর্তমানে পুলিসি হেফাজতে রয়েছে। তারা দুজনেই বাংলার বাসিন্দা। সম্প্রতি খোঁজ মিলেছে শেখ সাহদতের। সেই কারণেই তদন্তের জাল গোটাতে বাংলায় দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা।