পুরুলিয়া: কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে ঝালদার এক হোটেল মালিককে জেরা করল সিবিআই। হোটেলের পাশাপাশি তিনি ফতে সিং স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দুর ছায়াসঙ্গী ওই হোটেল মালিকের নাম সত্যবান প্রামানিক। এর আগে সিটও তাঁকে জেরা করেছিল। পুলিসের দাবি, সত্যবানের লাইন হোটেলে বসেই তপন কান্দুকে খুনের চক্রান্ত করা হয়েছিল।
ঝালদা থানার হেসাহাতু গ্রামের বাসিন্দা সত্যবানকে আজ সিবিআই তাদের অস্থায়ী অফিসে নিয়ে আসে। সেখানেই জেরা করা হয় তাঁকে। সত্যবান বলেন, সিবিআই আধিকারিকেরা কিছু প্রশ্ন করেছিলেন। নরেন কান্দুর সম্পর্কেও জানতে চায়। যা জানি, তাই বলেছি আধিকারিকদের। ঝালদার এসডিপিও সুব্রত দেবকেও আজ, মঙ্গলবার তলব করে সিবিআই। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তাঁকে জেরা করল সিবিআই।
১৩ মার্চ সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লাগে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Acid Attack: স্ত্রীকে সন্দেহ, মুখে অ্যাসিড মেরে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি স্বামীর
প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তপনবাবুর মৃত্যু হয়। যদিও এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা না রেখে প্রথম থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছে নিহতের পরিবার। শেষ পর্যন্ত সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে যায় তপন কান্দুর পরিবার। হাইকোর্ট ৪ এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।