ঝাড়গ্রাম : তুমি যে ঘরে কে তা জানতো? অবশেষে খোঁজ মিলল চিতাবাঘ বাবাজীর। ঝাড়গ্রামের মিনি চিড়িয়াখানা থেকে বাঘ বাবাজী নিখোঁজ হতেই আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হয়ে গিয়েছিল ঝাড়গ্রামবাসীদের।
একেই পুজোর সময়, রাস্তায় মানুষের ভিড়। কারও জানা আর বোঝার আগেই অন্ধকারে সে উধাও। খোঁজ কর, খোঁজ কর, করে সবাই ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। সকলের একটাই ভয়, এই বুঝি বাঘের পেটেই প্রাণটা গেল। চারিদিকে শুরু হয়ে যায় মাইকিং। রাতের অন্ধকারে দেখা না গেলেও ভোরের আলো ফুটতেই চিতাবাঘের দেখা মিলল তার নিজের ঘরেই। সবাই তো থ। একি! যার জন্য এত খোঁজ, সেই কি না ঘুমিয়ে।
আরও পড়ুন : মুম্বইয়ের বৃষ্টিতে রাস্তায় হাঁটছে বাঘের বাচ্চা, আর তারপর…
মোটামুটি সন্ধের পর থেকেই বাঘ পালানোয় ঝাড়গ্রামে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বন দফতরের কর্মী ও চিড়িয়াখানার কর্মীরা বাঘ বাবাজীকে খোঁজা শুরু করলে দেখা মেলে তার। এনক্লোজার থেকে বাইরে গেলেও নিজের ঘরের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সে। তবে, কী করে সিসিটিভি ক্যামেরার নজর এড়িয়ে গেল? অগত্যা চিতাবাঘের ভয়ে সবাই খিল এঁটেছিল ঘরে। কারণ, প্রবাদ তো রয়েছেই, যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়।