কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: অমরনাথ তীর্থযাত্রায় বেরিয়ে পুলওয়ামায় আটকে পড়েছেন বাঙালি যুবতী শ্রাবন্তী রায়৷ বালির বাসিন্দা শ্রাবন্তী একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত৷ গত ৮ জুলাই তিনি পৌঁছয় জম্মু৷ আগামিকাল সোমবার তাদের অমরনাথ যাওয়ার কথা৷ কিন্তু শুক্রবারের প্রবল বৃষ্টি ভেস্তে দিয়েছে যাবতীয় পরিকল্পনা৷ একটি ভিডিয়ো বার্তায় শ্রাবন্তী বলেন, ‘এখন পুলওয়ামা এলাকায় আটকে রয়েছি৷ প্রচুর সিকিউরিটি থাকলেও আতঙ্কে রয়েছি৷ সামনে ও পিছনে গাড়ি আটকে৷ কোনওভাবে এগোতে পারছি না৷ সিআরপিএফ আটকাচ্ছে৷’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিরাপদে বাড়ি ফেরানোর আবেদন জানান৷ জানা গিয়েছে, শ্রাবন্তীর সঙ্গে হাওড়া, কলকাতা, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনার আরও আটজন তীর্থযাত্রী রয়েছে৷ এদিকে মেয়ের আটকে পড়ার খবরে উদ্বেগে পড়ে গিয়েছে তাঁর ষাটোর্ধ্ব বাবা-মা৷ একমাত্র মেয়ের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা৷
অমরনাথ যাত্রায় গিয়ে বিপর্যয়ের মুখে বাঙালি তীর্থযাত্রীরা৷ তারমধ্যেও মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে গিয়েছেন কয়েকজন। তাঁদের একজন হলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের পাগলিগঞ্জের বাসিন্দা তথা হাইস্কুল শিক্ষক শুভ্রনীল মুন্সী। কার্যত মৃত্যুকে ছুঁয়েই বাড়ি ফিরতে চলেছেন শুভ্রনীলসহ তাঁর বন্ধুরা৷ একইভাবে হাওড়ার কালীবাবুর বাজার এলাকা থেকে একই পরিবারের তিনজন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। রাতে পরিবারের কাছে ফোন আসে, তিনজনকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। হাওড়ার এই তিনজনই সুস্থ এবং জীবিত আছেন। উদ্ধারকারী দল তাঁদের হদিশ পেয়েছে৷
গত ৬ জুলাই বাগডোগরা থেকে বিমানে চেপে দিল্লি হয়ে শ্রীনগরে পৌঁছন শুভ্রনীল ও তাঁর ৬ বন্ধু। তিনি ছাড়াও ওই দলে ছিলেন দুর্লভপুরের পুষ্পজিৎ চক্রবর্তী, মাহিনগরের রজত সরকার, পাগলিগঞ্জের তোতন হালদার, সুরঞ্জন দে দাস, তাপস ঘোষ ও মুকুল সরকার। তাঁদের বেশিরভাগই শিক্ষক ও ব্যবসায়ী। এদিকে অমরনাথের দুর্ঘটনা শোনার পর থেকেই উদ্বিগ্ন রয়েছেন তাঁদের পরিবার-পরিজনরা। ওই দলে থাকা পুষ্পজিৎ চক্রবর্তীর স্ত্রী টুসি চক্রবর্তী বলেন, সেদিন থেকে আমাদের খাওয়াদাওয়া প্রায় নেই বললেই চলে। টিভিতে দেখছি, আর এদিকে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছি না। ওর চিন্তায় আমাদের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। আমাদের ছেলে ভালো করে পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে পারেনি। মুকুলবাবুর স্ত্রী সীমা সরকার বলেন, গতকাল থেকে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। শনিবার বিকেলে ফোনে কথা হওয়ার পর স্বস্তি পেয়েছি। খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম৷