কলকাতা: নিরঞ্জন বৈষ্ণবের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে সিবিআই চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা৷ ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন নিরঞ্জন৷ গত ৬ এপ্রিল বাড়িতে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়৷ তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু মনে করেন, নিরঞ্জনের মৃত্যুর তদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে৷ তাঁর দাবি, সিবিআইকে দিয়েই তদন্ত করানো হোক৷ তাই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন তিনি৷ সেই সঙ্গে বাকি প্রত্যক্ষদর্শীদের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন পূর্ণিমা৷ মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷
১৩ মার্চ তপন কান্দু খুনের দিন তাঁর সঙ্গে হাঁটতে বেরিয়ে ছিলেন নিরঞ্জন বৈষ্ণব৷ বন্ধুর মৃত্যুর একমাসের মধ্যে মারা যান নিরঞ্জন৷ মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তপন কান্দু খুনের ঘটনায় বারবার পুলিসের জেরাতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। নিরঞ্জনের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে৷ তাতে পুলিসের বিরুদ্ধে মানসিক অত্যাচারের কথা উল্লেখ রয়েছে৷ ঘটনার দিন কী ঘটেছিল, নিরঞ্জন তা সচক্ষে দেখেছেন বলে দাবি করা হয়েছে৷ পুলিস বারবার তাঁকে ডেকে পাঠাচ্ছিল৷ তিনি সুইসাইড নোটে লিখেছেন, বন্ধু খুনের আগে কখনও থানার চৌকাঠ মাড়াননি তিনি৷ তাই, ঘটনার কথা বারবার মনে পড়া ও পুলিসি জেরা সম্মুখীন হওয়া ইত্যাদির কারণেই মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন৷
নিরঞ্জন বৈষ্ণবের আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও বিরোধী দলগুলি এই মৃত্যুর নেপথ্যে পুলিসকেই দায়ী করছেন৷ বিশেষত পরিবারের অভিযোগ, মৃত্যুর পর থেকেই নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মোবাইল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। নিরঞ্জনের দেহ উদ্ধারের পর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা জানিয়েছিলেন, স্বামীর মৃত্যুর দিন নিরঞ্জন সঙ্গে ছিলেন৷ গত কয়েকদিনে একাধিকবার বাড়িতেও দেখা করতে আসেন৷ পাশে থাকার আশ্বাস দেন৷ গত ৫ এপ্রিল নিরঞ্জন তপনের বাড়িতে যান৷ তারপরের দিনই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনা স্বাভাবিক নয়৷ ঘটনার সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত বলেই সিবিআই চেয়েছেন পূর্ণিমা৷
আরও পড়ুন: Hanskhali Rape: হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে জনস্বার্থ মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে, মঙ্গলবার শুনানি