রামপুরহাট: বগটুই কাণ্ডে প্রথম থেকেই পুলিস-দমকলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এর আগেই একাধিকবার বেশ কয়েকজন দমকল কর্মী-আধিকারিককে জেরা করেছিল সিবিআই। কিছু বিষয় ধন্দ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই বিষয়ে বিশদে জানতে বগটুই কাণ্ডে অগ্নিনির্বাপণের দায়িত্বে থাকা ৫ দমকল কর্মী-আধিকারিককে তলব করেছিল সিবিআই। আজ, রবিবার দমকলের এক লিডার সাইদুল ইসলাম সহ পাঁচ কর্মী সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দিয়েছেন।
দমকলের নিয়ম অনুযায়ী, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরে অকুস্থলে এক প্রস্ত তল্লাশি চালানো হয়। গোটা ঘটনার বিবরণ স্থানীয় থানায় নথিভুক্ত করতে হয়। তার পরেই ঘটনাস্থল ছেড়ে যেতে পারে দমকল। প্রশ্ন উঠছে, ২১ মার্চ রাতে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বাড়িতে অগ্নিসংযোগের রাতে দমকল এই নিয়ম মেনেছিল কি না? যদি মেনেই থাকে তাহলে পরের দিন সকালে ভস্মস্তূপ থেকে ৭টি মৃতদেহ পাওয়া গেল কী ভাবে?
২১ মার্চ, সোমবার সন্ধেয় বীরভূমের বগটুই মোড়ে খুন হন বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ৷ তাঁর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বগটুই গ্রামের পূর্বপাড়ায় তাণ্ডব চালায় একদল যুবক৷ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি বাড়িতে৷ সেই আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ৭ জনের৷ পরে আরও একজনের মৃত্যু হয় রামপুরহাট হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: Basirhat: বসিরহাটে স্ত্রীকে গলাটিপে খুনের অভিযোগ, গ্রেফতার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন
বগটুইয়ের ঘটনায় প্রথমে সিট এই ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে পায় সিবিআই। ৭ এপ্রিলের মধ্যে ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট৷ সেই মতোই গত বৃহস্পতিবার বগটুই হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। একই সঙ্গে ভাদু শেখের খুনের ঘটনারও তদন্ত করছে সিবিআই।