কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসের পরেও আতঙ্ক ছড়িয়ে রয়েছে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মমতা উপদ্রুত গ্রামে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিসকে ঘরছাড়াদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন। যে অবস্থাতেই হোক, ভয়ে আতঙ্কে যাঁরা গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার কথা সাফ জানিয়ে দেন। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী অর্থসাহায্য, পুনর্বাসন ও চাকরির আশ্বাস দেওয়ার পরও মানুষের ভিতর থেকে আতঙ্ক কাটেনি। গ্রাম ঘুরে দেখল কলকাতা টিভি ডিজিটাল৷ মমতা চলে যাওয়ার পরও তাঁদের অনেকে বলেছেন, তাঁরা গ্রামে শান্তি চান। সকলে যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারেন, তার দাবি তোলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন কথা বলে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন বগটুই গ্রামের মিহিলাল শেখ। তিনিও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আসায় আমরা সন্তুষ্ট। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, পুলিসি নিরাপত্তা দিয়ে গ্রামে থাকার। আমাদের জন্য নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা গ্রামে ফিরতে চাই।
আগুনে পুড়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের একজন সাজিনা খাতুন জোর গলায় গ্রামে শান্তি ফেরানোর দাবি জানান। তিনি বলেন, পুলিস থাকতেই গ্রামে ঘরে ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পুলিসের সামনেই আগুন ধরানো হয়েছে। তাঁর অভিযোগ পুলিস নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের কাছ থেকে ঘুষ খেয়েছিল। টাকা খেয়েছিল। পুলিস তো গ্রামেই থাকত ভাদুর টাকা খেয়ে। পুলিসও ভাদুর কেনা ছিল, মানুষও কেনা ছিল— বলে গুরুতর অভিযোগ তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন-Anarul Hossain: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন
সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিন বগটুই যাওয়ার পরেও মানুষের মন থেকে আতঙ্ক পুরোপুরি উবে যায়নি। পুলিসি ধরপাকড়ের ভয়ে বহু এলাকা এখনও জনশূন্য হয়ে আছে। তার উপর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়ার পর গ্রামের পরিস্থিতি আরও বিগড়তে পারে বলেও ভয় পাচ্ছেন অনেকে।