পুরুলিয়া : বাবাকে খুন করে নদীর চরে দেহ লোপাট করার অভিযোগে ছেলে ও বৌমাকে গ্রেফতার করল কাশীপুর থানার পুলিশ। শনিবার তাদের রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হবে।
আরও পড়ুন : প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে খুন, গ্রেফতার স্ত্রী
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশীপুর থানার মালঞ্চডি গ্রামের বাসিন্দা মহেশ্বর সোরেনের(৭২) ৩ ছেলে। বড় ছেলে জয়দেব সোরেন ও ছোট ছেলে সঞ্জয় সোরেন পরিবার নিয়ে খড়গপুরে থাকতেন। দু’জনেই দিন মজুরের কাজ করতেন সেখানে। গত বৃহস্পতিবার দুই ভাই গ্রামে ফেরেন। এসেই বাবাকে না দেখতে পেয়ে বাবার খোঁজ করতে শুরু করেন। মেজো ভাই শ্রীকান্ত সোরেন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। তারপরেই বারার ঘরে গিয়ে দেখেন রক্তের দাগ রয়েছে। তাই দেখে সন্দেহ হওয়াই কাশীপুর থানায় গোটা ঘটনাটি জানায় দুই ভাই। কাশীপুর থানার পুলিশ বাড়িতে গিয়ে রক্তের দাগ দেখে মহেশ্বরের মেজো ছেলে শ্রীকান্ত সোরেনকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাবাকে খুনের কথা স্বীকার করে শ্রীকান্ত। তারপর তাকে নিয়েই পুলিশ ও কাশীপুর বিডিওকে সঙ্গে নিয়ে দারকেশ্বর নদীর চর থেকে মহেশ্বর সোরণের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় শ্রীকান্ত সোরেনকে খুন করে মৃতদেহ লোপাট করার জন্য তার স্ত্রী নমিতা সোরেনকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় পুলিশের কাছে শ্রীকান্ত জানায়, প্রায় সময়ই বাবার সঙ্গে স্ত্রী নমিতার ঝামেলা লেগেই থাকতো। গত সোমবার স্ত্রী নমিতার সঙ্গে ঝামেলা হয়, তখনই শ্রীকান্ত একটি লাঠি দিয়ে বাবাকে মারধর করে। তারপরই সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষন পরে এসে দেখেন রক্তাত্ব অবস্থায় মহেশ্বর মাটিতে পড়ে রয়েছেন। তখনই শ্রীকান্ত বুঝতে পারে, বাবা মারা গেছেন। শ্রীকান্ত ও নমিতা দুজনেই বাবার মৃতদেহ বস্তাবন্দি করে রাতের অন্ধকারে সাইকেলে করে গ্রাম থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে দ্বারকেশ্বর নদীর চরে মৃতদেহটি পুঁতে দেয়। এই ঘটনায় মেজো ছেলে শ্রীকান্ত ও নমিতা সোরেনকে খুন ও তথ্য লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার তাদের রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
আরও পড়ুন : স্ত্রীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে থানায় মিসিং ডায়েরি, দুর্গন্ধে ফাঁস অপরাধ