পূর্ব বর্ধমান: নগরায়নে সভ্যতায় পথের দুই ধার বরাবর বিশাল বৃক্ষের সারি খুব কম জায়গায় দেখা যায়৷ রক্ষণাবেক্ষণের বদলে সেই গাছই কেটে পাচার করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ৷ পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে এমন ঘটনার অভিযোগ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও বিডিও-র বিরুদ্ধে৷ অভিযুক্তদর বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করেছে৷
আরও পড়ুন গাছ কাটতে গিয়ে মৃত ১
অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, কালাড়াঘাট থেকে রায়না যাওয়া পর্যন্ত রয়েছে পূর্ত দফতরের সড়কপথ৷ কাড়ালাঘাটের একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের পর থেকে উচিৎপুর পর্যন্ত পথের দুধারে রয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের গাছ৷ বনদফতর অথবা পূর্ত দফতরের অনুমতি ছাড়াই নির্বিচারে কেটে ফেলা হয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে৷ এমনকী কাটা গাছ বিক্রির জন্য কোনও টেন্ডারও ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ৷৪-৫দিনে অবাধে পূর্ত দফতরের সড়কে ৪০টি মূল্যবাণ গাছ কেটে পাচারের অভিযোগ ওঠে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে৷
আরও পড়ুন গাছ লাগালেই মিলবে অতিরিক্ত নম্বর, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
বিশেষজ্ঞদর দাবি, বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে বিভিন্ন জেলায়৷ পরিবেশন দূষণ ও গাছের অভাব যার অন্যতম কারণ৷ এসব জেনেও ‘বৃক্ষ নিধনে’ নেমেছেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান৷ লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছেন গাছের কাঠ বিক্রি করে অথচ পঞ্চায়েত উপপ্রধানর বক্তব্য এসব গাছ বিক্রি করে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা পাওয়া গেছে৷ গাছ কেটে ফেলার বিরোধীতা করেছে স্থানীয় বিরোধী নেতৃত্ব৷ জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদারের বক্তব্য, তিনি অভিযোগপত্র পেয়েছেন। গাছ কাটার বিষয়ে কোন অনিয়ম থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷