নন্দীগ্রাম: দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের ঘটনা। দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ শামসুল ইসলামকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পঞ্চায়েত তিন সদস্য শামসুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিল। এর পর বিডিও পুলিস অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিস।
৬ এপ্রিল নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও সুমিতা সেনগুপ্ত থানায় অভিযোগ করে। নন্দীগ্রাম থানার পুলিস ৮ এপ্রিল এফআইআর দায়ের করে। শুক্রবার রাতে নন্দীগ্রাম থানার পুলিস শামসুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায়। থানায় এলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পঞ্চায়েত প্রধানের গ্রেফতারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। প্রধানের অনুগামীরা অভিযোগকারীদের বাড়িতে তাণ্ডব চালায়।
পুলিসকেও বিক্ষোভ দেখান শামসুলের অনুগামীরা। প্রধানের গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও দেখান তাঁর অনুগামীরা। রাতেই হলদিয়ার ভবানীপুর থানায় নিয়ে চলে আসা হয় শামসুলকে। আজ, শনিবার হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানকে।
আরও পড়ুন:Pakistan: পাকিস্তানি ডিগ্রিতে মিলবে না চাকরি, ভারতীয় পড়ুয়াদের বার্তা ইউজিসি-এআইসিটিইর
বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, কোটি কোটি টাকা চুরিতে অভিযুক্ত শামসুল ইসলাম। তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে পুলিস একপ্রকার বাধ্য হয়েই তাঁকে গ্রেফতার করেছে। তৃণমূলের আরেকটা গোষ্ঠী আবার এই গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথে নেমেছে। ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে সমস্যার জেরেই তৃণমূলে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি, নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, বিজেপি সারা ভারতবর্ষকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিচ্ছে। ভাগ-বাঁটোয়ারার কোনও ব্যাপার নেই এখানে। এটা আইনের ব্যাপার। আইন আইনের পথে চলবে।