নওদা: তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম খুনের ঘটনায় থমথমে নওদার শিবনগর। খুনের ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের নওদা থানার শিবনগর স্কুলের কাছে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই খুন হয়েছে মতিরুল। পরিবারের তরফে সিবিআই তদন্তের দাবি করেও পরে সুর বদল করা হয়েছে। নদিয়ার তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় নওদা তৃণমূল ব্লক সভাপতি শফিউর জামান ওরফে হাবিব মাস্টারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করল নিহতের পরিবার। একইসঙ্গে শাসকদলের বেশ কয়েকজন নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযওগ করেছে পরিবার।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। মতিরুলের দেহরক্ষী থাকা সত্ত্বেও তাঁকে গুলি করার সময় তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরা ভয়ে পালিয়ে গেল। কেন পালটা গুলি চালালো না নীরপত্তারক্ষীরা তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। ঘটনার প্রায় দু’ঘণ্টা পরে ওই নিরাপত্তা রক্ষীকে ঘটনাস্থলে নিয়ে এসে তদন্ত শুরু করেন জেলা পুলিশ সুপার। এই ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা পথ অবরোধ করেন।
আরও পড়ুন:Bengaluru: যৌনমিলনের সময় হার্টঅ্যাটাক ৬৭-র প্রৌঢ়ের, প্লাস্টিক মোড়া দেহ উদ্ধার
তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তাপস সাহার দাবি, সিপিএম (CPM), বিজেপি (BJP), কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে তৃণমূলের একটি অংশ মিলে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। দীর্ধদিন ধরে মতিরুলকে খুনের চেষ্টা চলছিল। তাপস জানান, মতিরুল করিমপুর ১ এবং ২ ব্লকের তৃণমূল সংখ্যালঘু (Minority) সেলের সভাপতি ছিলেন। সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই খুন হয়েছেন মতিরুল। বিধায়ক তো বলেই দিয়েছেন, তৃণমূলের একটি অংশও এই ঘটনায় জড়িত। বিরোধীদের কথা তিনি বলতে হয়, তাই বলেছেন। সিপিএমের এক নেতা বলেন, দেখুন, নিজেদের মারামারিতে আরও কত খুন হয় আগামিদিনে।