কলাইকুন্ডা: দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন জোগাড় করতে কত পরিশ্রমই না করতে হয়! আবার সেই অন্ন জোগাড়ের রাস্তা যখন অনেকটা বন্ধ হয়ে যেতে দেখতে হয় চোখের সামনে, তখন লড়াইটা অন্য পর্যায়ে লড়তে হয়। আর সেই লড়াই শুরু হয়েছে কলাইকুণ্ডায়। রাত জেগে, পাহারা দিয়ে, ধাওয়া করে লড়াই চলছে অন্ন বাঁচানোর। কী ব্যাপারটা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে তো? তাহলে একটু খুলেই বলা যাক –
ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল হয়ে ১০০টি হাতি প্রবেশ করেছে কলাইকুন্ডা রেঞ্জ এলাকাতে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সেই হাতিদের তাণ্ডবে যেমন আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা, তেমনি আতঙ্কিত বনদপ্তরের কর্তারাও। কারণ, এই মুহূর্তে পাকা ধান কেটে বাড়িতে তোলার চেষ্টা করছেন কৃষকেরা। মাঠে থাকা সেই পাকা ধান খেয়ে ও মাড়িয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে হাতির পাল। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, প্রতিদিন দু’বেলা চাষের জমিতে ভরপেট ধান খেয়ে ও মাড়িয়ে নষ্ট করছে হাতির পাল। গত দুদিনে সেই ক্ষতির পরিমাণ চরমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Swarnakamal Saha: তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর
একদিকে মেদিনীপুর (Midnapore) সদর ব্লক, অন্যদিকে কলাইকুন্ডা রেঞ্জ এলাকার লোকজন। হাতি তাড়াতে জড়ো হন এলাকাবাসী। কলাইকুন্ডা রেঞ্জ এলাকার হুলাপার্টি এই কাজে সফল হয়নি। কলাইকুন্ডার দিক থেকে তাড়া খেয়ে পিছিয়ে গেলে হাতির দল তাড়া খেয়েছে মেদিনীপুর সদরের বাসিন্দাদের কাছে। শেষমেষ জাটিয়ার জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে দলটি। তবে যাওয়ার আগে তারা পাকা ধানে মই দিয়ে অনেককে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। ভৌগলিক দিক থেকে মাঝখানে ছোট জঙ্গল ঘেরা মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও কলাইকুন্ডা কাছাকাছি অবস্থান করে। বুধবার ভোরে ওই হাতির পাল থেকে প্রায় ৫০টি দাঁতাল প্রবেশ করেছে মেদনীপুর সদরের পলাশীয়া এলাকায়। ফলে নতুন করা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সেখানে।
এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ (Compensation) সহ হাতি তাড়িয়ে এলাকাকে নিরাপদ করার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, প্রশাসন চেষ্টা করছে যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে।