হাবড়া: পরীক্ষাকেন্দ্রে (Exam Center) পৌঁছতে দেরি হওয়ায় পরীক্ষা (Exam) দিতে পারল না এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (Higher Secondary Examinee) । জানা যায়, ওই পড়ুয়ার বাবা পাঁচ দিন ধরে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) ভর্তি রয়েছেন। বাবার সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে গিয়েই সোমবার পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। আর সেকারণেই এবছরের ইতিহাস পরীক্ষায় বসা হল না উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার হাটথুবা হাইস্কুলের ছাত্র অভিজিৎ মিস্ত্রির।
অভিজিতের বাবা অজিত মিস্ত্রি ক্যানসারে আক্রান্ত। চিকিৎসা চলছে কলকাতার (Kolkata) আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital)। পাঁচ দিন ধরে সেখানেই ভর্তি রয়েছেন তিনি। এদিন হাসপাতালে বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল অভিজিৎ। সেখান থেকেই পরীক্ষা (Exam) দিতে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু ফেরার ট্রেনের সমস্যার কারণে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে এক ঘণ্টার বেশি দেরি হয়ে যায়। বোর্ডের নিয়ম অনুসারে এক ঘণ্টার বেশি দেরি করলে সে আর পরীক্ষা দিতে পারবে না। সেই কারণে স্কুলের গেটের সামনে এসেও ঢুকতে না পারায় কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (Higher Secondary Examinee)।
আরও পড়ুন:Modi-Mamata Deal | দিদি-মোদির ডিল, তাই রাহুলকে মমতার অপমান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই, দাবি অধীরের
পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে উপস্থিত অভিভাবকরা এদিন সাংবাদিকদের সামনে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কর্তাদের অনুরোধ করেন, অভিজিতকে মানবিক কারণে ঢুকতে দেওয়া হোক। শুক্লা দে নামে এক অভিভাবক বলেন, পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার কারণে ছেলেটির একটা বছর নষ্ট হয়ে যাবে। যেহেতু বাবা ক্যানসার রোগী। আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি। তাই মানবিকতার দিকটি বিবেচনা করে ওকে একটা সুযোগ দিতে পারতও। এক ঘণ্টা সুযোগ পেলে ছেলেটি অন্তত পাশ নম্বর তুলতে পারতো।
কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। পরীক্ষা সেন্টারের ইনচার্জকে সংবাদমাধ্যম জিজ্ঞাসা করতে গেলে সাংবাদিকদের বুম সরিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, যা হয়েছে বোর্ডের কর্তাদের জানানো হয়েছে। এই কথা বলেই তিনি গাড়িতে উঠে চলে যান।
শেয়ার করুন