বর্ধমান: বিজেপি (BJP) জেলা পার্টি অফিসে ধুন্ধুমার। বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) দিনেই বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমান শহর। এদিন জেলা পার্টি অফিসের সামনেই চলে দুই গোষ্ঠীর তুমুল সংঘর্ষ।পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
বিজেপি কর্মী শ্যামল রায়কে দল থেকে বহিষ্কার করার প্রতিবাদেই এদিন জেলা পার্টি অফিসের সামনে পুর্ব বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা-এর অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ দেখান একদল বিজেপি কর্মী। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে সভাপতিকে সরাতে হবে। রাজ্য নেতৃত্বকে অবিলম্বে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে বিষ্যটির বিহিত করতে হবে। বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা পার্টি অফিসে তালা লাগিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: Bankura| BJP Inner Clash | পুরনোদের টিকিট দিতে হবে, দলীয় কোন্দলে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির
যুবমোর্চার জেলা সভাপতি পিন্টু সামে’র নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তালা খুলতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি হয়। জেলা পার্টি অফিসের উল্টো দিকে বিক্ষুব্ধদের একটি অস্থায়ী ছাউনি ভেঙে দেয় পিন্টুর লোকজন। পার্টি অফিস লক্ষ্য করে ইটপাটকেলও ছোড়া হয়। বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পিন্টুর বিরুদ্ধে বহু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। কিছু দিন আগে তা নিয়ে মুখ খোলেন শ্যামল রায়। তাতেই জেলা সভাপতি এক তরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে শ্যামলকে বহিষ্কার করেন। এই ঘটনাকে ঘিরে বেশ কিছু দিন হরেই বিজেপির অন্দরে ঝামেলা চলছিল। বৃহস্পতিবার তা তুঙ্গে ওঠে। পিন্টু শ্যাম বলেন, বিজেপিতে ব্যক্তি বড় নয়। দলই বড়। দলই শেষ কথা। কিছু কিছু লোক তৃণমূলের মদতে দলবিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। তৃণমূল মদ, মাংস খাইয়ে কয়েকজনকে দিয়ে আজ পার্তী অফিসে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেছে। অফিসের তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা তালা খুলে তাড়া করায় ওরা পালিয়ে যায়। দল কোনও বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করবে না। তাঁর বিরুদ্ধে যে সব দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন পিন্টু। জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা-এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজেরও কোনও জবাব দেননি।
বর্ধমানে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগেও একাধিকবার জেলা পার্টি অফিসের সামনে দুই গোষ্ঠীর গোলমাল হয়েছে। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি হয়েছে। এমনকী দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে স্লোগানও উঠেছে। বেশ কয়েক মাসে আগে পার্টি অফিসে হামলাও হয়েছে। এক গোষ্ঠী অফিসে ব্যাপক ভাঙচুরও করে।