পানাগড়: রাজু খুনের ১৯দিনের মাথায় দুর্গাপুর (Durgapur) থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিজিৎ মণ্ডল (Abhijit Mondal) নাম এক অভিযুক্তকে। আর এবার অপর এক কয়লা মাফিয়া নারায়ণ খাড়কার দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারের অফিস সিল করল পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃত অভিজিৎ মন্ডল ব্যবসায়ী নারায়ণ খাড়কার গাড়ির চালক। যদিও ধৃতকে নিজের গাড়ির চালক হিসেবে মানতে নারাজ নারায়ণ । তাঁর দাবি অভিজিৎ চালক নয় সাইট ইনচার্জ হিসেবে সংস্থায় কাজ করত। বুধবার রাতে নারায়ণের দুর্গাপুরের অফিসে হানা দেয় পুলিশি সিটের ১০ টি গাড়ি তার পরেই সিল করে দেওয়া হয় ব্যবসায়ীর অফিস।
গত ১ এপ্রিল কলকাতায় আসার পথে শক্তিগড়ে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে খুন হন আসানসোল, দুর্গাপুরের কয়লা মাফিয়া বলে পরিচিত রাজু ঝা। যে গাড়িতে করে তিনি কলকাতায় আসছিলেন, সেই গাড়ির মধ্যেই তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। গাড়িতেই মারা যান রাজু। একেবারে নিখুঁত ভাবে মারা হয়েছে রাজুকে। আততায়ীদের পরিকল্পনা এতটাই নিখুঁত যে গাড়িটির ইঞ্জিন এবং চেসিস নম্বর নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, গাড়িতে যে ৫টি নম্বর প্লেট উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে ৪টির রেজিস্ট্রেশন অন্য কোনও ব্যালেনো গাড়ির নামে। পুলিশ জানিয়েছে, এই গাড়িটি প্রায় একমাস ধরে ঘুরছে রানিগঞ্জ, আসানসোল, দুর্গাপুর, বীরভূমে। আর কয়লা মাফিয়া রাজুর মৃত্যুর দিনেও খুনিরা এই গাড়ি করেই আসে শক্তি গড়ে।
আরও পড়ুন: Health Tips | বাসে চড়লেই বমি হয়? নিমেষে মুক্তি পান এই সমস্যা থেকে
যথেষ্ট পেশাদারিত্বের সঙ্গে হত্যা করা হয়েছে রাজুকে। তাঁর হত্যা কান্ডের তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই নতুন চ্যাঞ্চল্য কর তথ্য আসছে পুলিশের হাতে। পুলিশ জানতে পারে, শক্তিগড়ে আসার আগে আসানসোলে একটি হোটেলে উঠেছিলেন রাজু, লতিফরা। গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ওই হোটেলে রাজুর সঙ্গে লতিফের কোনও একটি বিষয়ে তুমুল ঝগড়া হয়। তারপর তাঁরা কলকাতার দিকে রওনা হন। পথে শক্তিগড়ে গাড়ি থামে। তখনই খুন হন রাজু। পরের দিনই রাজুর দিল্লিতে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কেউ কেউ বলছে, রাজু অনেক গোপন তথ্য সিবিআইকে জানিয়ে দিতে পারতেন বলেই তাঁকে খুন করা হল। পুলিশ ১২ সদস্যের সিট গঠন করে রাজু খুনের তদন্তের জন্য।