বীরভূম: বিশ্বকবির জন্মদিনে বীরভূমে নবজোয়ার কর্মসূচি সূচনা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রামপুরহাট মহকুমা থেকে শুরু হয় এই জনসংযোগ যাত্রা। আগামী তিনদিন বীরভূমে (Birbhum) এই কর্মসূচি পালন করবেন অভিষেক।
তৃণমূলের নব জোয়ার জনসংযোগ যাত্রা অনুষ্ঠানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের লোহাপুর কাঁটাগড়িয়া মোড়ে এসে উপস্থিত হন। সেখানে তাঁকে পুষ্পস্তবক ও গলায় হার দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডেপুটি স্পিকার ডক্টর আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূম লোকসভার সাংসদ শতাব্দী রায় সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।
উল্লেখ্য, সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) বীরভূম সফরের আগেই তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয় নানুরে। শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে দুই মহিলা সহ জখম হয়েছেন চারজন। দু’জনকে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জখম (Injured) তৃণমূল কর্মীদের কারো মাথা ফেটে রক্ত ঝরে, কেও আবার গুরুতর চোট পান। ঘটনাস্থলে নানুর থানার পুলিশ (Police) পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আরও পড়ুন : Kurmi Agitation | মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চাওয়ার পরও আন্দোলনে অনড় কুড়মি সমাজ
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, নানুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের গোষ্ঠীর সঙ্গে নানুরের বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল করিম খানের গোষ্ঠীর সঙ্গে বচসা বাধে। মুখমুখি থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। জানা গিয়েছে, করিম খানের গোষ্ঠীর একজনের বাড়িতে তাজা বোমা মজুদ ছিল। এই খবর অন্য গোষ্ঠী পুলিশকে জানিয়ে দেয়। পুলিশকে কেন জানানো হল তা নিয়েই শুরু হয় বচসা, তারপর হাতাহাতি সংঘর্ষ। এদিকে ঘটনায় জখম ব্যক্তিরা সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। তবে সিপিএম-এর দাবি, গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই এই সংঘর্ষ।