মহেশতলা: ওডিশার (Odisha) বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে একই পরিবারের তিন সদস্য এবং প্রতিবেশী এক ব্যক্তি। মহেশতলা পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের আকড়া বগা নোয়াপাড়ার বাসিন্দা বাপ্পা সর্দার, মঞ্জুর আলম সর্দার, শেখ পাপ্পু এবং প্রতিবেশী রমজান মোল্লা করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Coromandel Express) কাজে যাচ্ছিলেন। এরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু যাবার পথেই সব শেষ। দুর্ঘটনার কবলে পরে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পরিবারের লোকজনের কাছে খবর আসার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আত্মীয়রা।
পরিবার সূত্র জানতে পারা যায়, তাঁরা কাজের উদ্দেশ্যে ট্রেনে করে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছিলেন। সেই সময় ওডিশার বালেশ্বরের কাছে ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনা কবলে পড়েন তাঁরা। এরা প্রত্যেকেই দর্জির কাজ করে বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে শেখ পাপ্পু গুরুতর আহত হয়েছে। শেখ পাপ্পুর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, সেখানে কোন রকম চিকিৎসা হচ্ছে না তাঁর। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত পরিবারের লোকজন। স্থানীয় প্রশাসন সর্বদা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাহানাগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস এবং চেন্নাইগামী শালিমার করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দুটি ট্রেনই লাইনচ্যুত হয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। শেষ খবর অনুযায়ী, ঘটনায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০০ ছুঁইছুঁই। আহত ৯০০-র বেশি। এক দুর্ঘটনাতেই গোটা বালেশ্বর হয়ে উঠেছে সাক্ষাৎ মৃত্যুপুরী। চারদিকে শুধুই স্বজনহারাদের কান্নার রোল।
আরও পড়ুন:Agnimitra Paul | রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের বাড়িতে যেতে বাধা অগ্নিমিত্রাকে
শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব-সহ রেলের আধিকারিকেরা। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী। কথা বলেন উদ্ধারকারীদের সঙ্গেও। কীভাবে এমন বিপর্যয়, তার জন্য রেলের তরফে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী। রেলমন্ত্রী আরও বলেন, এটি বড় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রেল, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং ওড়িশা সরকার জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা হবে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে কলকাতা ও কটকে চিকিৎসা করানো হবে। এ ঘটনায় তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্তের পর এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।