স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমেই সিলভার স্ক্রিনের তারকাদের সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে তাঁদের ভক্তকুল, বা ফ্যানরা। অন্যদিকে তারকারাও তাঁদের কোন কাজ দর্শকদের কেমন লাগছে,তা সহজেই জানতে পারে। তবে এই পারস্পরিক বিনিময় অনেক সময় মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তখনই হয় বিপত্তি। সম্প্রতি অভিনেত্রী অরুণিমা ঘোষকে নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এর জেরেই ঐ যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে খুবই ভয় পেয়েছেন অরুনিমা, নানা ভাবে চেষ্টা করেও সমস্যার সমাধান করতে পারেনি অবশেষে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তিনি। এই রকমই সমস্যায় পড়েছিলেন ধারাবাহিকের অভিনেত্রী শ্রুতি দাশ, তাঁকে তার গায়ের কালো রঙের জন্য অপমান করা হচ্ছিল। নেট দুনিয়ার নিজের ব্যক্তিগত জীবনের নানা ঘটনার জন্য নানা কটূক্তি সমালোচনা শুনতে হয় অভিনেত্রী নুসরত জাহান ও শ্রাবন্তীকে। লক্ষ্য করে দেখা গেছে তুলনায় মহিলাদের বেশি আক্রান্ত হন । এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার বলেন , “এই ক্ষেত্রে আমি পাত্তাই দেই না, এসব নিয়ে রিয়াক্ট করার মানে এদের উৎসাহ দেওয়া, তবে বাড়াবাড়ি হলে অবশ্যই প্রশাসনিক সাহায্য নেবো।
আবার চূর্নি গাঙ্গুলি জানান, “বহুদিন আগে ‘নির্বাসিত ‘ ছবির সময় আমি জীবন নাশের হুমকি পেয়েছিলাম। তবে সিনেমা মুক্তির পর তাঁরই ভেবেছে হুমকি না দিলেও পারতো। ”
ঋদ্ধি সেন জানান সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকতে গেলে সমালোচনা শুনতেই হবে, বিপরীত মত থাকতেই পারেন, তবে তা যদি মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তাহলেই বিপত্তি। পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য নানা মানসিকতার মানুষ থাকে, তাই কোনকিছু লিখলে সমালোচকদের কথাও শুনতেই হবে। তবে যদি দেখা যায় প্রাণ নাশের হুমকি আসছে তাহলে অবশ্যই পুলিশের সাহায্য নিতে হবে।
নাম জানাতে অনিচ্ছুক বহু তারকাই জানান, বেশিরভাগ সময়ই এই ধরনের মন্তব্য এড়িয়ে যান, তবে কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় ব্যাক্তিগত কুৎসা ও জীবন নাশের হুমকিও আসে তখন বাধ্য হয়ে প্রশাসনের সাহায্য নিতে হয়েছে। স্যোশাল মিডিয়ার কিছু সুফল পাশাপাশি এটাই সব থেকে বড় বিপদ।