ঋত্বিক ঘটকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ছবিটিতে অনিল চট্টোপাধ্যায়ের লিপে রাগ হংসধ্বনি ‘লাগি লগন পতি সখি সন, পরম সুখ অতি আনন্দম…’ এই বন্দিশটি যাঁরা শুনেছেন তাঁদের পণ্ডিত এ কাননের কথা নিশ্চয়ই মনে পড়বে। ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের এই প্রবাদপ্রতিম পুরুষকে নিয়ে বই লিখেছেন তাঁরই একনিষ্ঠ ছাত্রী চন্দ্রা চক্রবর্তী। ‘ছয় তারের তানপুরা’ বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতা প্রেস ক্লাবে প্রকাশিত হল। বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মায়েস্ত্র কুমার বসু, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, ওস্তাদ মাসকুর আলি খান এবং কবি অমিতাভ গুপ্ত।গুরু-শিষ্য পরম্পরা মেনে চন্দ্রা কানন পরিবারের সঙ্গে থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নিয়েছেন ১০ বছর বয়স থেকে।পণ্ডিত এ কাননের স্ত্রী বিদুষী মালবিকা কাননেরও অত্যন্ত প্রিয় ছাত্রী ছিলেন চন্দ্রা।কলকাতার ‘সংগীত রিসার্চ একাডেমি’তে কাননদের বাড়িতে থেকে সংগীত শিক্ষার তালিমের অভিজ্ঞতার স্মৃতি নিয়েই লেখা এই বই। বইয়ের এই নামকরণের কারণ হিসেবে চন্দ্রা বলেছেন,মালবিকা কানন তাঁর নিজের ছয় তারের তানপুরাটা তাঁকেই দিয়ে গিয়েছিলেন। এই তানপুরাই ছিল ছোট্ট চন্দ্রার বন্ধু।
‘ছয় তারের তানপুরা’ বইটিতে নিঃসন্তান কানন পরিবারের অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যায়। নানা রকম মজার ঘটনার মধ্যে দিয়ে এই বইতে সঙ্গীতরসিক কানন দম্পতির পাশাপাশি জানা যায় গিরিজা দেবী কিংবা পন্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের মতো ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে কাননদের ব্যক্তি-সম্পর্কের অনেক অজানা তথ্য।