প্রীতম বিশ্বাস: ক্যামেরায় চোখ রাখার সময় তিনি অন্য মানুষ। শুধুমাত্র সত্যজিৎ রায় নন, তার ক্যামেরার কাজে ভরসা রেখেছেন তরুণ মজুমদার, তপন সিনহা সহ অনেকেই। কে ভুলতে পারে পলাতক বা এক ডক্টর কি মত। তবে প্যাক আপের পর তার মতন আড্ডাবাজ রসিক মানুষ খুব কমই। সে কথা জানতেন সত্যজিৎ রায়। মজার মুহূর্তে সৌমেন্দু বাবুকেও ডাকতেন রায় বলে। বহু আগে ‘কলকাতা টিভি’কে এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছিলেন সে কথা। অভিযানের শুটিং চলাকালীন ওয়াহিদা রেহমানকে কোনও নির্দেশ পাঠাতে পরিচালক বেছে নিতেন নবীন চিত্রগ্রাহককে। বিব্রত হতেন সৌমেন্দু, আবার উপভোগ করতেন। সাক্ষী থাকতেন সৌমিত্র।
আরও পড়ুন: প্রয়াত সত্যজিৎ রায়ের চিত্রগ্রাহক সৌমেন্দু রায়
‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন সত্যজিৎ ও সৌমিত্র থাকতেন এক জায়গায়। শুভেন্দু ও বাকিরা অন্যত্র। যথারীতি শুটিং শেষে বসত সান্ধ্য আসর। কিন্তু সত্যজিৎ ওখানে হাজির হলেই সবকিছু টেবিলের তলায়। পরিচালক প্রশ্রয়ের হাসি হেসে অনুমতি দিতেন এবং সবকিছু আবার ফিরে আসত টেবিলের ওপর। সে সময় যেন এক অদৃশ্য ক্যামেরায় সব রেকর্ড করতেন সৌমেন্দু রায়।
আউটডোর শুটিং প্যাক আপের পরে আড্ডার গল্প জমিয়ে বলতে পারতেন তিনি।
গল্পগুলো রইল তার এক একটা ফ্রেমের মতোই অবিস্মরণীয় হয়ে।