মুম্বই: খোলামেলা পোশাকে মাঝেমধ্যেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট উষ্ণতা ছড়ান। পর্দাতেও তাঁকে সাহসী চরিত্রে দেখতে অভ্যস্ত দর্শকরা। বলিউডে একের পর এক ছবিতে দক্ষ অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে।বহু চরিত্রের প্রস্তাব তিনি সম্প্রতি ফিরিয়ে দিয়েছেন। কারণ নিজের পছন্দসই চরিত্রের বাইরে তিনি খুব একটা কাজ করতে পছন্দ করেন না।
বলিউডে কারোর রেফারেন্স ছাড়াই কাজ করা শুরু করেছিলেন রাধিকা। বলিউডে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই কাস্টিং কাউচের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকেও। গায়ের রং,শরীরের গঠন এমন নানান বিষয় নিয়ে সেলেবদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে একাধিকবার। যদিও আগে এ প্রসঙ্গে খুব একটা সেলেবরা মুখ খুলতেন না। তবে বর্তমানে অনেকটাই পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। বোল্ড স্টেটমেন্ট দিতে এখন অনেকেই আর সংকোচ বোধ করেন না। আর অভিনেত্রীর নাম যখন রাধিকা আপ্তে তখন তো আর কথাই নেই।
বলিউডে পা রেখে প্রথম যে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল রাধিকাকে তা হল তাঁর নাক এবং স্তনের আকার নিয়ে। নাকের গঠন পছন্দ হয়নি অনেকের। একইভাবে স্তনের আকার ছোট হলে নাকি ভালো অভিনেত্রী হওয়া যায় না এমনটাও শুনতে হয়েছিল রাধিকাকে।
রাধিকা নিজেই জানিয়েছেন সম্প্রতি একের পর এক চরিত্রের প্রস্তাব ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেছেন অধিকাংশই চেহারা দেখে আগেই স্থির করে নেন তিনি কোন চরিত্রে মানাবেন। একটা সময় নাকি রাধিকা থেকে মনে করা হতো তিনি শুধু ‘দরিদ্র চরিত্রেই’ মানাবেন। যেমন গ্রাম্য মহিলার চরিত্রে। আবার ‘বদলাপুর’ ছবির পর দর্শকরা ভেবেছিল তাকে কেবল সেক্স কমেডি চরিত্রেই মানাবে। রাধিকা জানিয়েছেন তারপর একই ধরনের চরিত্রের প্রস্তাব পেলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি।
এরপর ‘আন্ধাদুন’ ছবি করার সময় পাওয়া গেল নতুন রাধিকাকে। সে সময় তাঁকে ডেকে নাকি বলা হয়েছিল তাঁর নাকের আদল বদলাতে এমন কি ধরনের আকার বড় করতে বলা হয়েছিল। রাধিকার কথায়,’এসব শুনে আমি রীতিমতো অবাক হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম কেউ কিভাবে তার শরীর নিয়ে এমন মন্তব্য করতে পারেন! যদিও এসব ছাড়াও ইন্ডাস্ট্রিতে দাপটের সঙ্গে কাজ করা যায়। তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।’ তবে এক সময় টাইপ কাস্টের যে তিনি শিকার হয়েছেন তা একবাক্যে মেনে নিয়েছেন অভিনেত্রী।