কিছুদিন আগেই ডেলিভারি বয় সংক্রান্ত একটি পোস্ট করার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে শুরু হয়েছে চরম ট্রোলিং। বিতর্কে নাম জড়িয়েছে শিশুশিল্পী হিসেবে টলিউডে আসা অরিত্র দত্ত বণিক-এরও। সুদীপার পোস্টের নিরিখে জবাব দিয়েছিলেন অরিত্র। পাল্টা জবাব দেন সুদীপাও। তবে এখানেই শেষ নয়। ফের এই বিতর্কে মুখ খুললেন অরিত্র। আসলে কিছুদিন আগেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন সুদীপা। সেখানে তিনি লেখেন, “সুইগির একজন ডেলিভারি বয়-ও কেন ফোন না করে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না।ফোন করে কেন বলে, আমি আসছি, আপনি গেটটা খুলুন। আমি কি দারোয়ান ?” এই পোস্টের স্ক্রিনশট তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা শেয়ার করেছিলেন প্রতীক মুখোপাধ্যায় নামের এক ব্যক্তি। পোস্টে সুদীপার এই মন্তব্য দেখেই ট্রোলিং শুরু হয় নেটদুনিয়ায়। সুদীপার ওই পোস্টের পর অরিত্র নেটমাধ্যমে লেখেন, “একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সঞ্চালিকা, যাঁকে এত মানুষ ফল করেন। তাঁর কাছ থেকে এমন মন্তব্য মেনে নেওয়া যায় না। এই কারণে বাংলার মিডিয়া ও ফিল্মের শিল্পীরা দীর্ঘদিন আগেই দেশের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা হারিয়েছেন। উনি পোস্টটা ডিলিট করেছেন ঠিকই। তবে পোস্ট ডিলিট করলেও তো মন থেকে অহংকারী মানসিকতা দূর করা যায় না। যে কোনো কুরিয়ারের ছেলেমেয়েরাই যে আসলে অশিক্ষিত ও আপনার ভৃত্য, এই ধরনের চিন্তা ছুড়ে ফেলে দিন। যে কোনো পেশার মানুষদের সম্মান রয়েছে।” এরপরই অরিত্রর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সুদীপা। এমনকি টেনে আনেন অরিত্রর বাবা-মার প্রসঙ্গও। সুদীপা বলেন, “অরিত্র জীবনে কী করেছে যে ওর কথা আমায় শুনতে হবে ? আমি যতদূর জানি অরিত্র যখন ছোট ছিল তখন ট্র্যাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালে ওর বাবা-মা’ই বলতেন ভেতরে অরিত্র আছে।” পরিবারের প্রসঙ্গে উঠতেই সুদীপার উপরে রীতিমতো চটেছেন অরিত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, “বাবা-মা-ঠাকুরদা-সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের কখনো প্রয়োজন হয়নি আমার পরিচয় ব্যবহারের।” পাশাপাশি তিনি নিজের গাড়ির নম্বর জানিয়ে বলেন যা যা কেস এখনও পর্যন্ত গাড়িটির নামে আছে, সেগুলি ভালো করে দেখে নিতে।
Html code here! Replace this with any non empty text and that's it.