জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘রানি রাসমনি’র জমিদার স্বামী ‘রাজচন্দ্র দাস’। এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ওপার বাংলার গাজী আব্দুন নূর। কোন বাংলার পুজো তার কাছে সবচেয়ে প্রিয়? অন্য ধর্মের মানুষ হয়েও যিনি দুর্গা পুজোয় মেতে ওঠেন। অভিনেতা নিজেই জানালেন,’দূর্গা পূজার প্রথম থেকে স্বস্তির আগমন-সবই আমি জানি। নবপত্রিকা স্নান থেকে সংকল্প। কারণ পড়াশোনার জন্য এবং অভিনয়ের কারণে আমি এপার বাংলায় ছিলাম। এই ধারাবাহিকের কাজের জন্য জানবাজারের জমিদার রাজেন্দ্র দাস হতে গিয়ে সেই বাড়িতে আমার যথেষ্ট যাতায়াত ছিল। তাই এই জমিদার বাড়ির পুজো দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। তাছাড়াও বাংলাদেশেও দুর্গাপুজো হয়।’ এ বছরের দুর্গা পূজোয় কি পরিকল্পনা করেছেন অভিনেতা তা নিজেই জানালেন।”এই বছর ঠিক করেছি বন্ধুদের নিয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দির আর ঢাকার বাকি মণ্ডপগুলোতে যাব। গত দুই বছর করোনার জন্য ইচ্ছে থাকলেও বিধিনিষেধ মেনে ঘুরতে পারিনি।আপনারা কি জানেন, পুরনো ঢাকায় দুর্গাপুজায় বেশ ধুমধাম করে হয়? জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকটা জায়গা নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে এই ভাবেই পুজো হচ্ছে।” অভিনেতা আরো জানান, “কলকাতার পুজোর সঙ্গে বাংলাদেশের পুজোয় মিলের চেয়ে যেন অমিলটাই চোখ টানে। কলকাতার পুজো মানেই থিমের পুজো, আলোর রোশনাই। সেই তুলনায় বাংলাদেশের পুজো অনেকটাই সাবেকি। অন্তরের টান এখানে বেশি। এই সাবেকিয়ানা, আন্তরিকতা কলকাতাতেও একটা সময় ছিল। তবে এখন সবটাই স্মৃতি। সবেতেই যেন বাণিজ্যের চোখ ঝলসানো আলো। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই মণ্ডপ ঘুরে থিম বোঝার ঝোঁক ছিল।ভিনয়ে আসার পর মুখ ঢেকে কিংবা অনেক রাতে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরেছি। বাংলাদেশের জেলা শহরগুলোতে আজও দেবী মা সাবেকি। ভাগ্যিস এখানে এখনো থিম পুজোর চল আছড়ে পড়েনি।”
Html code here! Replace this with any non empty text and that's it.