অপহরণ করার পর ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ না দেওয়ায় এক যুবককে খুন করল দুষ্কৃতকারীরা। ঘটনা বহরমপুর থানার উত্তরপাড়া এলাকার। বাপ্পা মণ্ডল (২১) নামে ওই যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ বৃহস্পতিবার উদ্ধার হয় বেলডাঙার রানিনগর থেকে। বুধবার রাতে বাপ্পাকে অপহরণ করা হয়। পরিবার জানায়, বুধবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিল বাপ্পা। পথে জনা তিনেক যুবক বাইকে করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর থেকে বাপ্পার মোবাইল থেকে তার বাবা মিলন মণ্ডলের কাছে বারবার ৫ লক্ষ টাকা চেয়ে ফোন আসে। মাঝরাতে সেই ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এদিন সকালে পুলিশ খবর দেয়, বাপ্পার মৃতদেহ মিলেছে রানিনগরে। পরিবারের লোকজন ছুটে যান দেহ শনাক্ত করতে।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্রে উল্টে গেল স্কুলপড়ুযা বোঝাই ভুটভুটি, নিখোঁজ ৭
বাপ্পার বাবা মিলন জানান, রাতেই পুলিশকে সব জানানো হয়। ৫ লক্ষ টাকা জোগাড় করা যায়নি। দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে বেলডাঙার দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে সাদা পোষাকের দুই পুলিশকর্মী ছিলেন। ছেলের ফোন থেকে টাকা চেয়ে বেশ কয়েকবার ফোন আসে। রাত আড়ইটার পর সেই ফোন বন্ধ হযে যায়। তাঁরা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। এদিন সকালে পুলিশ বাপ্পার দেহ পাওয়া গিয়েছে বলে বাড়িতে খবর দেয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
মাস খানেক আগে কলকাতার বাগুইআটি থেকে দুই স্কুলপড়ুয়াকে অপহরণ করা হয়। সপ্তাহ দুয়েক পর দুজনের পচাগলা দেহ মেলে বসিরহাটের কাছে এক সরকারি হাসপাতালের মর্গে। তাদের দেহ পাওয়ার কথা বাড়িতে জানায় পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অপহরণের পরেই তাদের খুন করা হয়। কিন্তু এতদিন পর কেন দেহ মেলার কথা জানাল পুলিশ, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাড়ির লোকজন। তাঁদের পুলিশ নানা ভাবে হেনস্তা করেছে বলেও অভিযোগ। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের অপহরণ করে খুনের ঘটনা ঘটল বহরমপুরে।