ছবি মুক্তির পর দক্ষিণী সুপারস্টারের(Superstar) এই ছবি সুপার-ডুপার হিট(Super-Duper Hit)। কিন্তু তবু সুপারস্টার এর বাবা বাস চালকের চেয়ার ছাড়েননি। সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় গণমাধ্যম সংস্থার কনক্লেভে এই সুপারস্টারকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, “আপনার ছবি ‘কেজিএফ'(KGF) সুপারিট হওয়ার পর কি আপনার বাবা ব্যাপারটা অনুভব করতে পেরেছিলেন!” ছবির নায়ক দক্ষিণী সুপারস্টার যশ উত্তর দিয়েছিলেন মা-বাবার আচরণে তিনি কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করেননি।
প্রসঙ্গত, এই ছবির মাধ্যমে যশের পরিচিতি ঘটেছে আসমুদ্র হিমাচল। ‘কেজিএফ’ এর নায়ক রকি ভাই ওরফে সুপারস্টার যশ। রূপোলি পর্দার গল্পের মতই যশের জীবন কাহিনী। অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের ছেলে আজকের এই সুপারস্টার । যাশের বাবা বাস চালক। ছেলে খ্যাতির অর্জন করলেও বাবা নিজের পেশা থেকে সরেন নি।
আরো পড়ুন: Sharukh Atlee Jawan: আগেও ‘জওয়ান’ পরিচালকের বিরুদ্ধে গল্প চুরির অভিযোগ ছিল
নায়ক যশ আরো জানান যখন তাঁর ‘মিস্টার এন্ড মিসেস রামচারী’ ছবিটি ব্লকবাস্টার হয়েছিল তখনো বাবা বাস চালাতেন। বাবা যশকে বলেছিলেন,’তুমি তোমার মত করে উপার্জন কর আমি আমার মত করে থাকবো। আমার বাবা-মা আমার কোন অনুষ্ঠানে আসেন না। আমার কোন শুটিংয়ে কখনো আসেননি। তবে একজন সফল তারকার বাবা হিসেবে পরিচিত হতে তাঁরা গর্ব অনুভব করেন। এখনো আমার পুরনো বন্ধুরা আমার সঙ্গে আগের মতই ব্যবহার করে। জমিতে পা না থাকলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়’।
দক্ষিণী ছবি এবং বলিউড ছবি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যশ বিশ্বাস করেন না যে দক্ষিণী ছবির জনপ্রিয়তা বাড়ছে আর বলিউডের জনপ্রিয়তা কমছে। তিনি একসঙ্গে কাজে বিশ্বাসী।
প্রসঙ্গত করো না মহামারির পর ‘কেজিএফ ২'(KGF2) প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের ফিরিয়ে এনেছেন। যশের মতে দর্শকরা এখন যথেষ্ট বোঝদার। পোস্টার এবং ট্রেইলার দেখেই তারা বুঝে যায় ছবিতে কি রয়েছে। ছবিতে যে গল্পই আসল রাজা তা তারা বুঝতে পারে। তবে অবশ্য গল্প ভালো হলো আর অভিনয় দুর্বল তবে কিন্তু ছবি চলবে না। ছবি হিট করাতে হলে অনেকগুলো বিষয় মাথায় রাখতে হয়।