কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: রাস্তায় গেস্টাপো বাহিনীর সন্ত্রাস। আকাশে যুদ্ধবিমান। দু’বছর ধরে চোরাকুঠুরির মধ্যে লুকিয়ে লিখে চলেছে এক কিশোরী। পাতার পর পাতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা লিখে রাখছে সে দিনলিপির পাতায়। একদিন ধরা পড়া গেল। চালান হয়ে গেল জার্মান কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে। মানুষে ওই কিশোরীকে চেনে আনা ফ্রাঙ্ক নামে। আর সেই দিনলিপি একদিন প্রকাশ করেন আনার বাবা। ‘দ্য ডায়েরিজ অফ আ ইয়ং গার্ল’। আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি।
এ কাহিনি যদিও আনা ফ্রাঙ্কের নয়। আবার খানিকটা তাঁরও বটে। শনিবার, ১২ জুন আনার জন্মদিন। বেঁচে থাকলে বয়স হত তিরানব্বই। আনা ফ্রাঙ্ককে মানুষ চিনতেন না। যদি না তাঁর লেখা ডায়েরিটি উদ্ধার হত। যদি না আনার বাবা ওত্তো ফ্রাঙ্কের এক বন্ধু সেটিকে খুঁজে না পেতেন। জার্মানদের ইহুদি-নিধন যজ্ঞে পরিবারের একমাত্র বেঁচে থাকা সদস্য ওত্তো ফ্রাঙ্ক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে আমস্টারডাম ফিরে উদ্ধার করেন মেয়ে আনার লেখা ডায়েরি।
১২ জুন আনা ফ্রাঙ্কের জন্মদিন। শুধু জন্মদিনই না ‘দ্য ডায়েরিজ অফ আ ইয়ং গার্ল’ প্রকাশের পঁচাত্তর বছর। এই দিনটিকে সামনে রেখেই এবার ওত্তো ফ্রাঙ্কের একগুচ্ছ চিঠি আর শুভেচ্ছাপত্র প্রকাশিত হচ্ছে। প্রায় একশো চিঠি, শুভেচ্ছাপত্র তুলে দেওয়া হবে আনা ফ্রাঙ্ক সেন্টারকে। দক্ষিণ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সেন্টারে আনা ফ্রাঙ্ক সংক্রান্ত অসংখ্য দলিল দস্তাবেজ সযত্নে সংরক্ষিত আছে।
আরও পড়ুন- Angelo Moriondo: মোরিয়োন্দো ভাবলেন ‘আইডিয়া’! গুগল ডুডল জানাল শ্রদ্ধা
‘গবেষকদের কাছে এ এক ঐতিহাসিক দলিল। এক অমূল্য সম্পদ।’ বলছিলেন আনা ফ্রাঙ্ক সেন্টারের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হ্যারি পাসতিডেস। দক্ষিণ ক্যারোলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ক্যাম্পাসে আনা ফ্রাঙ্ক সেন্টার বেশি দিন হল কাজ করছে না। তাই প্রতিষ্ঠানের কাছে এ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আনা ফ্রাঙ্কের উত্তরাধিকারকে বহন করে নিয়ে চলার এক অনন্য সম্মান।