Sunday, June 1, 2025
HomeফিচারPadma Awards Controversy: বুদ্ধবাবুরা অসংখ্য পুরস্কার দিয়েছেন, নেওয়ার বেলায় না-এর যুক্তি খুবই...

Padma Awards Controversy: বুদ্ধবাবুরা অসংখ্য পুরস্কার দিয়েছেন, নেওয়ার বেলায় না-এর যুক্তি খুবই দুর্বল

Follow Us :

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সম্প্রতি-পদ্ম পুরস্কার প্রথমে স্পষ্ট করে না না-বলে, পরে ফিরিয়ে দিয়ে একটা বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে পুরস্কার দেওয়া যেমন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, তেমনই তা না নেওয়া বা প্রত্যাখ্যান করাটাও অবশ্যই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এই অপ্রিয় কথাটা অনেকে মনে রাখতে চাইছেন না।

বিজেপির পক্ষ থেকে বলতে শোনা গেল, রাষ্ট্রের দেওয়া পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়া অনৈতিক, রাষ্ট্র বিরোধী কাজ। তাঁদের মনে করিয়ে দিতে চাই, আরএসএস নেতা, দু’বারের জনসঙ্ঘ সাংসদ, ভারতের সব থেকে বড় শ্রমিক সংগঠনে বিএমএসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দত্তপন্থ ঠেঙ্গাড়িও পদ্ম-পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রীত্বকালে ২০০৩ সালে। সেই পুরস্কার ঘোষণাও ছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তখন বাজপেয়ী শ্রম-আইন সংস্কারের পথে এগোচ্ছেন, যার বিরোধী ছিলেন দত্তপন্থ এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন সংগঠন বিএমএস। দত্তপন্থের মতামত অনুকূলে আনার চেষ্টাতেই তাঁকে রাখা হয়েছিল পুরস্কার প্রাপকের তালিকায়। যদিও দত্তপন্থ নিজে পুরস্কার ফেরানোর কারণ প্রকাশ্যে যেটা বলেছিলেন সেটা হল, আগে গোলওয়ালকরকে ভারতরত্ন দিতে হবে তার পর তিনি পদ্ম-পুরস্কার গ্রহণ করবেন।

জ্যোতি বসু ভারতরত্ন নেননি, মাদার টেরিজা পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন। সেই পুরস্কারে অর্থও ছিল। সেটা অবশ্য রাষ্ট্রীয় পুরস্কার নয়। পুরস্কার নিয়ে বুদ্ধ-বিতর্কে একটি টিভি চ্যানেলএ দেখলাম এক সঞ্চালক এক সিপিএম প্রতিনিধিকে বেশ ধমকে প্রশ্ন করছেন, চিনের পুরস্কার আপনারা নিচ্ছেন, ভারতের পুরস্কার কী দোষ করল? তার উত্তরে ওই সিপিএম প্রতিনিধি বলছেন, চিনের সরকার ভারতের সরকারের থেকে অনেক ভালো সরকার। বোধহয় তথ্য হিসেবে ওঁর কথাটা ঠিক নয়। সত্যি কথা বলতে কী, চিন সিপিএমের কোনও নেতাকে পুরস্কার দিয়েছে বলে মনে পড়ছে না।

জ্যোতি বসু

নকশালবাড়ি আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিল চিন পিকিং রেডিওর মাধ্যমে। ফলে চিনের সঙ্গে সিপিএমের সম্পর্ক মোটেই ভালো ছিল না। সোভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গেও নয়। সিপিআই নেতাদের কয়েক জন সোভিয়েত ইউনিয়নের দেওয়া পুরস্কার গ্রহণ করেছেন অতীতে। কিন্তু কোনও সিপিআই নেতাকে পদ্ম পুরস্কার দেওয়া হয়নি। হীরেন মুখার্জির নাম একবার শোনা গিয়েছিল। পরে দেখা যায় তালিকায় নাম নেই। ফলে সিপিআই নেতাদের পুরস্কার ফেরানোর প্রশ্ন ওঠে না। তবে সিপিআই পার্টি সদস্য বেশ কয়েক জন বিশিষ্ট লেখক কবি জ্ঞানপীঠ, সাহিত্য অ্যাকাডেমির পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। যেমন সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবেশ রায়।

নকশালবাড়ি আন্দোলন

দেশে বিদেশে পুরস্কার না নাওয়া বা নেওয়া পুরস্কার পরে ফিরিয়ে দেওয়া, প্রতিবাদের একটা চেনা পদ্ধতি। বিজেপি এটা নিয়ে অকারণে অর্থহীন হৈচৈ করছে। বাঙালি পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ জানানো শিখেছে রবীন্দ্রনাথের থেকে। তার আগে আধুনিক ভারতে পুরস্কার ফিরিয়ে প্রতিবাদ জানানোর নজির নেই। তবে ১৮ শতকের শেষে আর এক বাঙালি রাজার দেওয়া পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি নবদ্বীপের পণ্ডিত বুনো রামনাথ (জন্ম ১৭৭০)। তর্কসভায় বিজয়ী হয়ে বাংলার মান রক্ষার পর রাজা নবকৃষ্ণ তাঁকে পুরস্কার দিতে চাইলে তিনি পুরস্কারকে ‘কাকবিষ্ঠা’ বলে পুরস্কার না নিয়ে নিজের কুড়ে ঘরে ফিরে গিয়েছিলেন। এই তো বাঙালির পরম্পরা। এটাই বিজেপি নেতারা বুঝতে চাইছেন না।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়

কিন্তু আরও কিছু কথা আছে বুদ্ধবাবুর পুরস্কার ফেরানো নিয়ে? সেটা রাজনীতির কথা এবং নৈতিকতার কথাও। বুদ্ধবাবুরা, মানে সিপিএম, রাষ্ট্রীয় পুরস্কার নেয় না। কেন নেয় না সে প্রশ্নে আপাতত যাচ্ছি না। কিন্তু এটাই যদি তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান হয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে যখন তাঁরা নির্বাচনে জিতে ৩৪ বছর টানা ক্ষমতায় ছিলেন তখন তাঁরা কেন ‘বঙ্কিম’, ‘রবীন্দ্র’ ইত্যাদি নানা ধরনের পুরস্কার দিলেন? সেই সব পুরস্কার তাঁদের দলের সদস্যরাও কেউ কেউ পেয়েছেন, গ্রহণও করেছেন। রাজ্য সরকার তো রাষ্ট্রেরই অংশ। আমাদের সংবিধানের ১২ নম্বর ধারা তো তাই বলছে। একবার তার ব্যাখ্যাটা দেখে নেওয়া যাক।

“Definition in this part, unless the context otherwise requires, the State includes the Government and Parliament of India and the Government and the Legislature of each of the States and all local or other authorities within the territory of India or under the control of the Government of India.”
In other words, for the purposes of Part III of the constitution, the state comprises of the following:
1. Government and Parliament of India i.e the Executive and Legislature of the Union
2. Government and Legislature of each State i.e the Executive and Legislature of the various States of India
3. All local or other authorities within the territory of India
4. All local and other authorities who are under the control of the Government of India

শুধু রাজ্য সরকার নয়। পঞ্চায়েত পুরসভাও রাষ্ট্রের অংশ। যে সমস্ত পুরস্কারদাতা সংগঠন সরকারের নিয়ন্ত্রণে, সেই সব সংগঠনও রাষ্ট্রের মধ্যে পড়ছে। ফলে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি, সাহিত্য অ্যাকাডেমির মতো প্রতিষ্ঠানও এর বাইরে নয়। বুদ্ধবাবুরা নিজেরা যে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার গ্রহণ করতে পারেন না, সরকারে যোগ দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে সেই সব পুরস্কার তাহলে তাঁরা দিলেন কী করে? যা ‘নৈতিক’ কারণে নেওয়া যায় না, তা কি দেওয়া যায়? সে কীরকম নৈতিকতা?

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Anubrata Mondal | থানায় হাজিরা দিলেন না অনুব্রত! আজই বড় পদক্ষেপ?
00:00
Video thumbnail
Amit Shah Speech Live | সিএফএসএলের নতুন ভবন উদ্বোধনে বক্তব্য রাখছেন অমিত শাহ, দেখুন সরাসরি
00:00
Video thumbnail
Dilip Ghosh | কেষ্টর মুখের বুলি থেকে অমিত শাহের সফর আর জামাই ষষ্ঠী, দিলীপ আছেন খোশ মেজাজে
00:00
Video thumbnail
Amit Shah | Netaji Indoor Stadium | অমিত শাহের সভা শুরুর আগে নেতাজী ইন্ডোরে কী অবস্থা? দেখুন সরাসরি
00:00
Video thumbnail
Miss World | ‘এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না…’, মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার পর কী বললেন ওপাল সুচাতা চুয়াংস্রি?
50:38
Video thumbnail
Good Morning Kolkata | সকালের গুরুত্বপূর্ণ খবর, দেখুন একনজরে সরাসরি
01:17:35
Video thumbnail
Amit Shah | BJP | আজ কী বার্তা দেবেন অমিত শাহ?
01:16:13
Video thumbnail
Sheikh Hasina | এই প্রথম সরাসরি বক্তব্য রাখছেন শেখ হাসিনা, দেখুন Live
03:24:02
Video thumbnail
Dilip Ghosh | কেষ্টর মুখের বুলি থেকে অমিত শাহের সফর আর জামাই ষষ্ঠী, দিলীপ আছেন খোশ মেজাজে
04:45
Video thumbnail
Eco ইন্ডিয়া | সবুজ এবং সমন্বয় ভবিষ্যৎ গড়তে দৈনন্দিন জীবনে আমার কী কী রদবদল করতে পারি? জানুন
26:02