কাবুল: যত দিন যাচ্ছে, ততই স্বমহিমায় ফিরছে আফগানিস্তানের (Afghanistan) তালিবান (Taliban) শাসন। মহিলাদের উচ্চশিক্ষার দরজা বন্ধ হয়েছে আগেই। এবার মহিলাদের চিকিৎসা পাওয়ার অধিকারও কার্যত কেরে দেওয়া হল। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের বালখ (Balkh) প্রদেশে ফতোয়া জারি হয়েছে, এখন থেকে আর পুরুষ চিকিৎসকরা মহিলাদের চিকিৎসা করতে পারবেন না। একই ভাবে মহিলা ডাক্তারাও পুরুষদের চিকিৎসা করতে পারবেন না। এই মুহূর্তে যে অল্প সংখ্যক মহিলা ডাক্তার রয়েছেন আফগানিস্তানে, তাঁদের ভবিষ্যৎও সংকটের মুখে। এমনিতেই মহিলাদের চাকরি করা নিয়েও আফগানিস্তানে নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা চিকিৎসক বলেন, এভাবে আর পারা যাচ্ছে না। একটা প্র্তিবাদ হওয়া দরকার।
গত মাসেই তালিবান শাসকরা জানিয়ে দিয়েছে, মহিলারা আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবেন না। কারণটাও অদ্ভুত। তালিবান শাসকদের মতে, মহিলারা এমনভাবে সেজেগুজে বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, যেন তাঁরা বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন। দুদিন আগে অবশ্য তালিবানরা প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের পড়াশোনায় ছাড় দিয়েছে।
আরও পড়ুন: Ind vs Aus: ভারতকে হারানো পাখির চোখ, ১৮ জনের দল ঘোষণা করল অস্ট্রেলিয়া
এক আফগান সংবাদপত্র সূত্রের খবর, তালিবানরা আরও ঘোষনা করেছে, মহিলা এবং পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মীরা আলাদা আলাদা ঘরে থাকবেন। মহিলা কর্মীদের সঙ্গে কোনও পুরুষ প্রবেশ করতে পারবেন না। এই ফতোয়া জারির পর আফগান চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। তালিবানি চাপে এমনিতেই মেডিক্যাল কলেজ সহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের দরজা বন্ধ। এরপর মহিলারা অসুস্থ হলে চিকিৎসার কী হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে আফগান মহিলা মহলে। তালিবানের নানা ফতোয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জ ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন। আমেরিকা সহ বহু দেশ মহিলাদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তার মধ্যেই নতুন ফতোয়া এল, পুরুষ চিকিৎসকরা মহিলাদের চিকিৎসা করতে পারবেন না।