কান্দাহার: চুরি কিংবা অবৈধ যৌন সংসর্গের সন্দেহে এদেশে ‘বিনা বিচারে’ জনসমক্ষে অনেক রকম শাস্তির প্রচলন আছে। আইন হাতে নিয়ে স্থানীয়রা অথবা গ্রামের মাতব্বররা এইসব বিধান দেন। কিন্তু, আফগানিস্তানের (Afganistan) তালিবানের (Taliban) বিচারে এ জাতীয় অপরাধীর কী শাস্তি হয় জানেন? শুনলে শিউরে উঠতে হবে। মধ্যযুগীয় শাস্তি (Medieval Age) শব্দটা অনেকে শুনেছেন। এবার শুনুন শাস্তির (Sentenced) সেই বিধান। চুরি-ডাকাতি এবং অবৈধ যৌনাচারের দায়ে ৪ জনের প্রকাশ্যে হাত কেটে নেওয়া হল। কান্দাহারের (Kandahar) আহমেদ শাহি স্টেডিয়ামে এই সাজাদানের ব্যবস্থা হয়।
সেদেশের টোলো নিউজ বলে একটি সংবাদ মাধ্যম টুইটে জানিয়েছে, তালিবানের সুপ্রিম কোর্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই ৯ জনকে কান্দাহারের আহমেদ শাহি স্টেডিয়ামে শাস্তি দান করা হয়। স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শাস্তি দানের প্রক্রিয়া দেখতে বহু মানুষের ভিড় করানো হয়েছিল। প্রাদেশিক গভর্নর হাজি জাইদের মুখপাত্র বলেন, প্রত্যেককে ৩৫ থেকে ৩৯ বার চাবুক পেটাও করা হয়েছে।
কিন্তু, ব্রিটেন নিবাসী আফগানিস্তানের প্রাক্তন এক সরকারি আমলা শবনম নাসিমি জানিয়েছেন, কান্দাহারের একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে চারজনের হাত কেটে নেওয়া হয়েছে। টুইটে তিনি লিখেছেন, চুরির অভিযোগে তাঁদের হাত কেটে নেওয়া হয়েছে। সেই সময় স্টেডিয়ামে প্রচুর লোক জড়ো হয়েছিল। শাস্তির জন্য কোনও উপযুক্ত বিচারও হয়নি তাঁদের। শুধু তাই নয়, বিচারের আগে তাঁদের চাবুকপেটাও করে তালিবান। যা মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন ওই মহিলা।
আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও তালিবান কর্তৃপক্ষ এখনও প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত, চাবুক মারার মতো শাস্তি চালিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘও এ ব্যাপারে আফগানিস্তানের স্বঘোষিত সরকারকে একাধিকবার সতর্ক করেছে। প্রকাশ্যে ভয়ানক, নিষ্ঠুর এবং অপমানজনক শাস্তির বিধান বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তা সত্ত্বেও আফগান কর্তৃপক্ষ কট্টর মৌলবাদী শাস্তি থেকে এতটুকু সরেনি।
গতবছর ৭ ডিসেম্বর তালিবান জনসমক্ষে ফারাহ শহরে এক ব্যক্তির মুণ্ডচ্ছেদ করে। যেখানে তালিবানের স্বঘোষিত উপ প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান বিচারপতি হাজির ছিলেন।